
নিজস্ব প্রতিনিধি : কলকাতা, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫। গত ১৪ এপ্রিল ২০২৫ সারাদিনব্যাপী আম্বেদকর জন্মজয়ন্তী পালন করা হয় রাজ্য যুব কেন্দ্র মৌলালী বিবেকানন্দ কনফারেন্স হলে। আয়োজন করেন আম্বেদকর ফাউন্ডেশন এবং পিপলস এডুকেশন সোসাইটি। পরিচালনায় আম্বেদকর কালচারাল কলেজ। এদিন সকালে স্মরণ সভার উদ্বোধন করা হয় মঞ্চের উপরে রাখা তিনটি গাছে জল দিয়ে এবং ১৫ জন বিশিষ্টজনের টর্চ লাইটের আলোয় পৃথিবী আলোকিত করে দূষণ মুক্ত ও নীরোগ বিশ্বের কামনায়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ বিজয় চন্দ্র বর্মন, নমঃশুদ্র ওয়েলফেয়ার বোর্ডের চেয়ারম্যান মুকুল চন্দ্র বৈরাগ্য, সায়েদা বেগম, ডঃ গোপাল ক্ষেত্ৰী, স্বামী সর্বসুখানন্দ, স্বামী অচ্যুদানন্দ, দীপা দাস, ব্রহ্মকুমারী পিঙ্কি, আচার্য পৃথ্বীরাজ সেন, আচার্য অরূপ মিত্র, পদ্মশ্রী রতন কাহার, পদ্মশ্রী গোকুল চন্দ্র দাস, আব্দুল করিম, নূরনবী জমাদার, দেবকন্যা সেন, ডঃ সমীর শীল, মনোরঞ্জন মন্ডল, যাদবপুর বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ প্রীতিকুমার রায়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ মোস্তাক আহমেদ, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ প্রহল্লাদ রায়, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুরাধা বিশ্বাস, ডাঃ হাসিবুর রহমান চৌধুরী, দানবীর অমর চাঁদ কুন্ডু, সাহিত্যিক মহম্মদ ইজাজ আহমেদ, সুখেন মজুমদার, বিধায়ক ও প্রাক্তন মন্ত্রী নির্মল কুমার মাজি। উপস্থিত সকল বক্তারা প্রাসঙ্গিক বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ডঃ আশীষ সানা বাবা আম্বেদকর সম্পর্কে বলেন এই মহান ব্যক্তি সম্পর্কে আরো গবেষণা দরকার। বিজয় বর্মন বলেন যে নির্যাতন অপমান ডঃ আম্বেদকর এবং সেই সময়ের দলিত মানুষদের করেছেন এখনো সেটা আছে এটা খুবই দুঃখের। ডাঃ নির্মল মাজি দীর্ঘ বক্তব্য রাখেন তিনি মুখ্যমন্ত্রীর উদার ও কল্যাণকামী মানসিকতার উল্লেখ করে বলেন এটাই চেয়েছিলেন বাবা সাহেব। ডঃ মোস্তাক আহমেদ বর্তমান সামাজিক অবস্থান ও আম্বেদকর সম্পর্কে সুন্দর বক্তব্য পেশ করেন। ডঃ প্রহল্লাদ রায় ভক্তিভরে আম্বেদকর কে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন বাবা সাহেবের অবদানের কথা বলে শেষ করা যাবে না। যে ছাড়াও এদিন বক্তব্য রাখেন ডঃ গোপাল ক্ষেত্ৰী, স্বামী সর্বসুখানন্দ, স্বামী অচ্যূতানন্দ, অমর চাঁদ কুন্ডু, আইআইটিয়ান বিষ্ণুপদ টিকাদার, ডাঃ হাসিবুর রহমান, পদ্মশ্রী গোকুল চন্দ্র দাস, নূরনবী জমাদার, দেবকন্যা সেন, ডঃ অরূপ মিত্র, আব্দুল করিম, ডঃ সুশান্ত কুমার মন্ডল, ডাঃ মঞ্জুশ্রী সরকার বসু, ডঃ চন্দ্র শেখর বাগ, আইএএস সত্যজিৎ সেন এবং বিশিষ্ট প্রবীণ সাংবাদিক গোপাল দেবনাথ। স্বাগত ভাষণ দেন অনুষ্ঠানের সম্পাদক দিলীপ বিশ্বাস, তিনি বলেন বাবা সাহেব আম্বেদকর সহস্রাব্দের শ্রেষ্ঠ মনীষী, বাবা সাহেব এবং তার প্রণীত সংবিধান মেনে চললে ভারতবর্ষ আরও উন্নত হতে পারতো। এই বছর ১৪ এপ্রিল কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় ছুটির দিন ঘোষণা করেছে এবং নিউ ইয়র্ক সিটি ১৪ এপ্রিল আম্বেদকর ডে হিসেবে ঘোষণা করেছিল। বাংলা বছরের শেষ দিনে মোট ১৩টি বিভাগে ১৭০ জন সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিকে উত্তরীয় ট্রফি মেডেল দিয়ে সন্মান জানানো হয়। আম্বেদকর সমাজ আচার্য হিসেবে ১৫ জন, আম্বেদকর স্মৃতি স্বর্ণপদকে ১৭ জন, গৌতম বুদ্ধ স্মৃতি স্বর্ণপদকে ৭ জন, গুরুচাঁদ স্মৃতি স্বর্ণপদকে ১০জন, কাজী নজরুল স্মৃতি স্বর্ণপদকে ১২জন, মহাপ্রাণ স্মৃতি স্বর্ণপদকে ১২জন, কৃত্তিবাস স্মৃতি স্বর্ণপদকে ১০ জন, সমাজ রত্ন ৩৫ জন, সাহিত্যিক রত্ন ১৬ জন, কবি রত্ন ১৮জন, সাংবাদিক রত্ন ১০জন, শিল্পী রত্ন ১৫ জন এবং শ্রেষ্ঠ সমাজ সেবক ৭ জন কে নির্বাচিত করা হয়। উপস্থিত গুণীজনদের মধ্য থেকে কবিতা আবৃত্তি ও সংগীত পরিবেশন করে উপস্থিত দর্শক শ্রোতাদের আনন্দে ভরিয়ে দেন। সারাদিন ব্যাপী এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে।
Discover more from SRB News Bangla
Subscribe to get the latest posts sent to your email.