ডা. কৌশিক সুন্দর, কনসালট্যান্ট – নিউরোলজি ও ইন্টারভেনশনাল নিউরোলজি এবং ক্লিনিক্যাল লিড, কমপ্রিহেনসিভ স্ট্রোক কেয়ার, নারায়ণা হেলথ, কলকাতা (মুকুন্দপুর | হাওড়া)

একসময় যাকে বয়স্কদের রোগ হিসেবে ধরা হতো, সেই স্ট্রোক এখন ক্রমশ তরুণদেরও আঘাত করছে। ভারতের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে, এখন বহু মানুষ তাঁদের ৩০, ৪০ বা ৫০-এর কোঠায় হঠাৎ স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছেন — জীবনের সবচেয়ে কর্মক্ষম বয়সেই। এই পরিবর্তনটি এক গুরুত্বপূর্ণ সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করছে — স্ট্রোক বয়স মানে না, তাই প্রত্যেকেরই সচেতন থাকা জরুরি।
সম্প্রতি বিষয়টি আরও আলোচনায় আসে যখন বলিউড অভিনেতা সালমান খান জানান যে তিনি ব্রেন অ্যানিউরিজম এবং আর্তেরিওভেনাস ম্যালফরমেশন-এ আক্রান্ত — মস্তিষ্কে রক্তনালীর এমন কিছু অস্বাভাবিকতা, যা ভবিষ্যতে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। যদিও প্রতিটি অ্যানিউরিজম স্ট্রোকে পরিণত হয় না, এই খবরটি জনসচেতনতা বাড়িয়েছে যে, সুস্থ-দেখতে মানুষও গুরুতর স্নায়ুরোগে আক্রান্ত হতে পারেন। ক্যান্সার ও হৃদরোগের পাশাপাশি স্ট্রোক এখনও বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ — হৃদরোগের পর মৃত্যুর দ্বিতীয় বৃহত্তম কারণ।
স্ট্রোকের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দিক হলো এর হঠাৎ আঘাত হানা। এক মুহূর্তে মানুষ সম্পূর্ণ সুস্থ, আর পরের মুহূর্তেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। তবুও, আশার কথা — স্ট্রোক অনেকাংশেই প্রতিরোধযোগ্য। এবং সময়মতো চিকিৎসা শুরু করা গেলে জীবন ও অক্ষমতা দুটোই রক্ষা করা সম্ভব।


Discover more from SRB News Bangla

Subscribe to get the latest posts sent to your email.