
নিজস্ব সংবাদাতা, হুগলি: হুগলির ধনেখালিতে অনুষ্ঠিত হল দুদিনব্যাপী সৌরশক্তির মাধ্যমে সেচ প্রযুক্তির কর্মশালা ও সচেতনতা শিবির। তপশীল জাতি আদিবাসী প্রাক্তন সৈনিক বিকাশ কেন্দ্রের হুগলির ধনিয়াখালির কার্যালয়ে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হল। বিনা বিদ্যুতে সৌরশক্তির মাধ্যমে কীভাবে ফসল উৎপাদন করে দ্বিগুণ উপার্জন করা যায়, তাই হাতেনাতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হল শিবিরে।

প্রত্যন্ত গ্রামের কৃষকরা নিজের জমিতে কম খরচে প্রাকৃতিক চাষের (ন্যাচারাল ফার্মিং) মাধ্যমে কীভাবে ফসল উৎপাদন করবে তাই নিয়ে কাজ করছে ভারত সরকারের কৃষি মন্ত্রক। সেই লক্ষ্যপূরণে ভারত সরকারের স্কিল ডেভেলপমেন্ট (Skill Development) মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্কিল কাউন্সিল ফর গ্রিন জবস (SCGJ) এবং আর্নেস্ট এন্ড ইয়ং ইন্ডিয়ার (Ernst and Young India) এর সহযোগিতায় জিজেড ইন্ডিয়া (GIZ India) সমর্থিত টিসা (TISA) সমর্থনে রাজ্যস্তরে ১৭ ও ১৮ মার্চ দুই দিনের কর্মশালা (WORKSHOP) অনুষ্ঠিত হল। এর মূল লক্ষ্য এগ্রি-ফোটোভোল্টাইক (Agri-Photovoltaic) সচেতনতা। অর্থাৎ কৃষিকাজে সৌরশক্তির মাধ্যমে সেচপ্রযুক্তির সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেওয়া। এই কর্মশালায় পশ্চিমবঙ্গের ১৬টি জেলা থেকে কৃষক, কৃষি বিশেষজ্ঞ ও এফপিও-র (FPO) প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন সংস্থার অন্যতম পরামর্শদাতা ও ন্যাক (NAC) বিশেষজ্ঞ ডঃ নরেন্দ্র কুমার। জিজেড ইন্ডিয়ার (GIZ India) বিশেষজ্ঞ বরুণ সিং। স্কিল কাউন্সিল ফর গ্রিন জবস (SCGJ) তরফে ডঃ সঞ্জয় দানাও। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সংস্থার প্রাণপুরুষ ও সম্পাদক সৌমেন কোলে।

কর্মশালায় চাষের জমিতে দাঁড়িয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া অংশগ্রহণকারীদের। এরপর সংস্থার অফিসে সংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংস্থার সম্পাদক সৌমেন কোলে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের রোজগার বাড়ানোর জন্য দেশ ব্যাপী বিজ্ঞান নির্ভর সৌর প্রযুক্তির পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে চলেছে। তারই প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত হল পশ্চিমবাংলার হুগলি জেলায় ধনিয়াখালিতে। হাতে কলমে সৌর প্রযুক্তির ব্যবহারে জল সেচ ও প্রাকৃতিক চাষের দ্বারা কম খরচে ফসল উৎপাদন করে অতিরিক্ত রোজগার বাড়ানোর পথনির্দেশ দেওয়া হল। এরপর ওড়িশা, ব্যাঙ্গালোর, অসম ও পঞ্জাবে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে সংস্থার পরিচালনায় প্রশিক্ষণ শিবির ও সচেতনতা। বহুমুখী এই প্রকল্প কৃষকদের আর্থিক লাভ চারগুণ বাড়বে।
এমন সচেতনতা শিবির ও কর্মশালা সংস্থা ভবিষ্যতে স্বাধীনতার একশ বছরে ভারতে প্রাকৃতিক চাষ মানব জীবনের অস্তিত্বকে নিরাপদ করবে। শুধু প্রযুক্তি সচেতনতা ছাড়াও মানসিক সচেতনতা ইতিবাচক করার এক বৈপ্লবিক পথ প্রদর্শকের ভূমিকাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছে তফসীল জাতি আদিবাসী প্রাক্তন সৈনিক কেন্দ্র সৌমেন কোলের নেতৃত্বে।
Discover more from SRB News Bangla
Subscribe to get the latest posts sent to your email.