নেতাজি ১৯৪৫ সালে তাইহুকো বিমান দুর্ঘটনায় যে মারা যাননি তা আমরা সাধারণ জনগণ স্বাধীনতার ৭০ বছর পর সরকারের বদান্যতায় ৭৪২ টা ফাইল ডি ক্লাসিফাই এর ফলে জানতে পেরেছি। যদিও মোট ফাইল এর সংখ্যা ২৪ হাজারের কিছু বেশি। রাজনাথ সিং তো বলেইছেন সব ফাইল প্রকাশিত হলে অন্যান্য দেশের সঙ্গে সম্পর্কে অনেক টানাপোড়েন আসতে পারে। কি এমন আছে সেসব ফাইল গুলোতে? কেন সবসময় নেতাজিকে তুরুপের তাস বানিয়ে রাজনৈতিক দল গুলো ফায়দা লুটতে চাইছে? গুমনামি বাবার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই কি নেতাজির উপাখ্যান সমাপ্ত হলো? যদি তাই হয় তাহলে ১৯৯২ সালে মরণোত্তের ভারত রত্ন প্রদান করে তা আবার কেনো ফিরিয়ে নিলো ভারত সরকার? তাহলে কি নেতাজি ১৯৮৬ তথা গুমনামি বাবার মৃত্যুর পরেও বেঁচে ছিলেন? থাকলে তাঁর কার্যকলাপ কি ছিল? কেনই বা তাঁর মত এত বড় একজন নেতা স্ব মহিমায় দেশে ফিরতে পারলেন না?

এসব প্রশ্নের উত্তর নিয়ে ২৩শে জানুয়ারি, প্রেস ক্লাবে প্রকাশিত হলো বিখ্যাত লেখক ও গবেষক শুভ্রনীল চক্রবর্তীর”সুভাষ চন্দ্র বসু, ১৯৪৫ পরবর্তী”। লেখক ১৯৪৫ এর পরবর্তী সময়ের ক্রমানুযায়ী নেতাজির কার্যকলাপ নিয়ে প্রামাণ্য তথ্য সহযোগে বইটি লিখেছেন, এর আগে নেতাজির অন্তর্ধান নিয়ে যে সমস্ত বই বেড়িয়েছে সেখানে মূলত আমরা দেখতে পাই গুমনামী বাবার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই ১৯৮৫ সালে নেতাজির মৃত্যু বলে ধরে নেওয়া হয় কিন্তু এই বইটির বিশেষত্ব এখানেই যে এটিই সর্বপ্রথম প্রামাণ্য তথ্য সহযোগে একটি বই যেখানে ১৯৮৫ এর পর ও নেতাজির কার্যকলাপ এর তথ্য দেওয়া হয়েছে এবং শুধু যে গুমনামী বাবা নন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সাধুর বেশে নেতাজিকে ভারতবর্ষে থাকতে হয়েছে সেই বিষয়েও আলোকপাত করেছেন লেখক এই বইতে।

নিঃসন্দেহে এই বই নেতাজি অনুরাগী ও গবেষকদের কাছে এক নতুন সত্য উম্মোচন করবেন।বইটি পাওয়া যাবে বইমেলায় গির্বান প্রকাশনার স্টলে এছাড়াও পরবর্তী কালে অনলাইনে পাওয়া যাবে। লেখকের থেকে বইটি সরাসরি সংগ্রহ করতে অথবা বই সংক্রান্ত যেকোনো প্রশ্ন করতে সরাসরি যোগাযোগ করুন নীচের মেল আই ডি তে –
csubhraneel@gmail.com


Discover more from SRB News Bangla

Subscribe to get the latest posts sent to your email.