আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় অভিন্ন মলাটে প্রকাশ পেল ড. সৌম্য ভট্টাচার্য প্রণীত বাংলা রেনেসাঁস উপন্যাসমালার শেষ দুটি খণ্ড ‘দুরন্ত দুপুর’ ও ‘বিষাদ সন্ধ্যা’। বইটির প্রকাশক আনন্দ পাবলিশার্স। আনন্দ থেকেই এই টেট্রালজির আগের দুটি খণ্ড ‘নতুন আলো’ ও ‘সোনালি সকাল’ প্রকাশিত হয়েছিল। মেলা প্রাঙ্গনে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন বিশিষ্ট জীবনানন্দ গবেষক গৌতম মিত্র।
লেখক সৌম্য ভট্টাচার্য জানালেন যে, এই প্রকাশের মাধ্যমেই বাংলা রেনেসাঁস নিয়ে তাঁর চার খণ্ডে পরিকল্পিত উপন্যাসমালার পরিসমাপ্তি ঘটল। ১৮৯৯ থেকে ১৯১০, এমন একটি যুগকে তিনি তাঁর উপন্যাসের বিষয় হিসেবে বেছে নিয়েছেন যে সময়ে কলকাতাকেন্দ্রিক বাংলা রেনেসাঁস তার চূড়ান্ত রূপ ধারণ করেছিল, আবার তার গৌরব অস্তমিতও হতে শুরু করে এই সময়েই।


বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ, জগদীশচন্দ্র, নিবেদিতা, কার্জন, কিচেনার-সহ বিভিন্ন ব্যক্তিত্বকে উপন্যাসমালার প্রথম দুই খণ্ড ‘নতুন আলো’ ও ‘সোনালি সকাল’-এ দেখা গিয়েছিল। তৃতীয় খণ্ড ‘দুরন্ত দুপুর’-এ তীব্রতা পেয়েছে বঙ্গভঙ্গবিরোধী আন্দোলন। বাংলায় উগ্রপন্থী রাজনীতির সূচনাও এই পর্বে। চতুর্থ খণ্ড ‘বিষাদ সন্ধ্যা’-র বিস্তার ১৯১০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত। অরবিন্দের বাংলাত্যাগ ও পন্ডিচেরি গমন দিয়ে এই উপন্যাসমালার পরিসমাপ্তি।
চার খণ্ডে পরিকল্পিত সুবিশাল মহাকাব্যিক উপন্যাসে কোনো কেন্দ্রীয় চরিত্র নেই। সৌম্যবাবুর মতে, এই উপন্যাসমালার প্রকৃত নায়ক সময় আর সব ক-টি খণ্ডের মধ্যে অভিন্ন সংযোগসূত্র প্রেমাঙ্কুর আতর্থী। এই বইমেলায় সৌম্য ভট্টাচার্যের ‘দুরন্ত দুপুর বিষাদ সন্ধ্যা’ আনন্দ (স্টল নং ২৪২) ও সিগনেট (স্টল নং ২৪৮) ছাড়াও ঋক প্রকাশনীর ৬৭৬ নং স্টল থেকে সংগ্রহ করা যাবে।


Discover more from SRB News Bangla

Subscribe to get the latest posts sent to your email.