২য় রেওয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব

অজিতেশ মঞ্চে এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে রেওয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হল। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট অভিনেতা ও লেখক সত্যপ্রিয় মুখোপাধ্যায়,

আন্তর্জাতিক ফিল্ম সেন্টারের সিইও ইউনুস মোল্লা এবং লেখক সুপ্তা আঢ্য। সারাদিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে নৃত্য আলেখ্য ‘ঋতুরঙ্গ’ পরিবেশন করেন শর্মিলি বিশ্বাস ও তাঁর ড্যান্স ট্রুপ। ভাষ্যপাঠে ছিলেন স্নেহাশিস রায় ও তাঁর গ্রুপ। সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী অরিত্র দাশগুপ্ত। প্রদর্শিত ছাব্বিশটা ফিল্মের মধ্যে একত্রিশ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। ‘সিক্সথ ডাইমেনশন’ ফিল্মের পরিচালক ঋষি ভট্টাচার্য পেলেন বেস্ট এক্সপেরিমেন্টাল ফিল্ম এওয়ার্ড, সুবীর মন্ডল পেলেন বেস্ট সিনেমাটোগ্রাফার। জায়েদ হোসাইন লাকী-র ‘প্রেম বিরহ’ পেল বেস্ট ড্রামা ফিল্ম এওয়ার্ড। বিক্রম দেব সেনগুপ্তর ‘খুচরো’ ও ‘স্বামী’ পেল যথাক্রমে বেস্ট কমেডি ফিল্ম এবং বেস্ট স্ক্রিনপ্লে এওয়ার্ড। এছাড়াও ‘রাজশ্রী তোমার জন্য’ ফিল্মের জন্য রাখী ভক্ত পেল বেস্ট এক্ট্রেস এওয়ার্ড। দেবাশিস বিশ্বাসের ‘রক্তিম পলাশ’ পেল বেস্ট থ্রিলার ফিল্ম এবং অর্ণবেন্দ্র নাথ মৈত্র পেলেন স্পেশাল জুড়ি এওয়ার্ড (এক্টর)। বেস্ট সাইলেন্ট ফিল্ম নির্বাচিত হল শুভদীপ রায়ের ‘মায়াবৃক্ষ’। ‘এপয়েন্টমেন্ট লেটার’ ফিল্মটির জন্য মনোরমা ঘোষ পেলেন বেস্ট সোস্যাল এওয়ারনেস ফিল্ম এওয়ার্ড এবং ‘বাবা’ ফিল্মের জন্য অমিত ঘোষ পেলেন ক্রিটিক্স চয়েস এওয়ার্ড। রীতা ঘোষের ‘পৌরুষ’ পেল বেস্ট স্টোরি, শ্রাবণী কোলে পেলেন বেস্ট ওম্যান এমপাওয়ারমেন্ট ফিল্ম, শতরূপা মুখার্জী পেলেন বেস্ট সাপোর্টিং এক্ট্রেস এওয়ার্ড। ‘সুখের খোঁজে’ ফিল্মের জন্য অশোকা চক্রবর্তী ও গৌতম ঘোষ পেলেন যথাক্রমে আউটস্ট্যান্ডিং এচিভমেন্ট ও বেস্ট প্রোডাকশন এওয়ার্ড। সমীর সরকারের ‘মন’ পেল বেস্ট কনসেপ্ট। ‘নয়নতারা’ ফিল্মের জন্য রাজা মুন্সী পেলেন বেস্ট ডিরেক্টর এওয়ার্ড। ‘পড়ন্ত বেলা’ ফিল্মের জন্য অজন্তা দেববর্মণ পেলেন স্পেশাল জুরি অ্যাওয়ার্ড।

‘ফাঁদ’ ফিল্মের জন্য সোমনাথ দাস পেলেন বেস্ট এক্টর এওয়ার্ড। ‘নবদিশা’ ফিল্মের জন্য শিশির মজুমদার পেলেন বেস্ট আর্ট ডিরেক্টর এওয়ার্ড। অশোকা চক্রবর্তী ও রুশা চক্রবর্তী পরিচালিত ‘ভূ-স্বর্গ কাশ্মীর’ পেল বেস্ট ডকুমেন্টারি এওয়ার্ড এবং মৌপিয়া মুখার্জীর ‘অপেক্ষা’ পেল বেস্ট মিউজিকাল ডকুমেন্টারি এওয়ার্ড। কোয়েল ত্রিপাঠি ‘কানহা তু স্পন্দন’ মিউজিক ভিডিওর জন্য হিন্দি গানে বেস্ট সিঙ্গার এওয়ার্ড এবং ‘তোমাতেই শুরু তোমাতেই শেষ’ গানটির জন্য পেলেন বাংলা গানে বেস্ট মিউজিক ডিরক্টর এওয়ার্ড। ‘আমাদের প্রেম’ এর জন্য বাংলা গানে অসীম বিশ্বাস এবং ‘ইয়ে এহসাস ভাগে’-র জন্য হিন্দি গানে সুব্রত নন্দী পেলেন বেস্ট লিরিসিস্ট এওয়ার্ড। মারাঠি গান ‘গনপতি বাপ্পা মোরিয়া’র জন্য নবারুণ দাশগুপ্ত পেলেন বেস্ট মিউজিক ডিরক্টর এওয়ার্ড। বেস্ট সিঙ্গার এওয়ার্ড পেলেন ‘মধুমালতী ডাকে আয়’ এর জন্য শুক্লা ব্যানার্জী এবং ‘আমি তো ইচ্ছে করে’ (অরিজিনাল স্কোর) গানটির জন্য শান্তা আমিন। প্রজ্ঞাবন্তী ব্যানার্জী বিশ্বাসের ‘তোমার কথা ভাবছি যখন’ পেল বেস্ট মিউজিক ভিডিও অ্যাওয়ার্ড। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিকল্পনায় ছিলেন ফেস্টিভ্যাল ডিরেক্টর নির্মাল্য বিশ্বাস, সভাপতি মণিদীপা চক্রবর্তী, সেক্রেটারি জয়িতা বল চ্যাটার্জী এবং মুখপাত্র রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়।