সম্প্রতি বিবেকানন্দ সোসাইটিতে দ্য গোল্ডেন টাইম ফরএভার গ্ল্যাম প্রোডাকশন হাউস আয়োজিত তিন দিন ব্যাপী দ্য গোল্ডেন টাইম ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট অভিনেতা সন্দীপ দে, দেবরাজ মুখার্জী এবং সংস্থার উপদেষ্টা মনোরমা ঘোষ।


ফেস্টিভ্যাল ডিরেক্টর অমিত ঘোষ জানালেন ভারত বাংলাদেশ মিলিয়ে প্রায় একশো তিরিশটার উপর ফিল্ম জমা পড়ে। তার মধ্যে পঁয়তাল্লিশটা ফিল্ম ও মিউজিক ভিডিও প্রদর্শনের জন্য মনোনীত হয়। দু’দিন ফিল্মগুলো প্রদর্শনের পর তৃতীয় দিন এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সঞ্জনা রায় চক্রবর্তীর পরিচালনায় সঙ্গীত পরিবেশন করেন ‘মিউজিক্যালি ইয়োরস’ সংস্থার সদস্যবৃন্দ। নৃত্য পরিবেশন করেন সিন্ড্রেলা সামন্ত ও এঞ্জেলা সামন্ত।


প্রদর্শিত ফিল্মগুলোর মধ্যে ‘খুচরো’ ফিল্ম- এর জন্য বেস্ট ডিরেক্টর এওয়ার্ড পেলেন বিক্রম দেব সেনগুপ্ত। ‘জীবন অঙ্ক’ ফিল্মের জন্য বেস্ট এক্টর এওয়ার্ড পেলেন নির্মাল্য বিশ্বাস এবং বেস্ট এক্ট্রেস এওয়ার্ড পেলেন রিম্পা সাহা। এছাড়াও ‘আকাশের শেষ ঠিকানা’ ফিল্মের জন্য বেস্ট এক্ট্রেস এওয়ার্ড পেলেন রাখী ভক্ত। বেস্ট সাপোর্টিং এক্ট্রেস এওয়ার্ড পেলেন ‘বাঁধন’-এর জন্য শতরূপা মুখার্জী, ‘বৃষ্টি ভেজা আকাশ’-এর জন্য সোনালী সাহা এবং ‘গল্প বলা ঠাম্মি’র জন্য রূপা ভদ্র। ‘একটা সবুজ পৃথিবী চাই’ ফিল্মের জন্য বেস্ট চাইল্ড এক্টর এওয়ার্ড পেলেন শিবাং চ্যাটার্জী সিং।

বেস্ট স্টোরি সত্যেন সরকারের ‘পতিতা’, প্রসুন বিশ্বাসের ‘এই অবেলায়’, জ্যোৎস্না রহমানের ‘কৃত্রিম বেলী’ এবং কৌশিক রায় চৌধুরীর ‘মিথ্যেবাদী’। সেরা স্ক্রিন প্লে এওয়ার্ড পেলেন ‘রাগ’- এর জন্য গৌরাঙ্গ ভূঁইয়া, ‘স্বপ্নের কাব্য’র জন্য সুমন রায়, ‘বিসর্জন’-এর জন্য সৌরভ চক্রবর্তী এবং ‘মন কি যে চায়’-এর জন্য দিলীপ নস্কর। ‘এরাও মানুষ’ ফিল্মটির জন্য বেস্ট ডায়লগ অ্যাওয়ার্ড পেলেন তুষার কুমার। বেস্ট সোশ্যাল এ্যাওয়ারনেস ফিল্ম নীলাঞ্জন দাসের ‘শিক্ষা’, বেস্ট সোশ্যাল মোটিভেশনাল ফিল্ম সুজিত চক্রবর্তীর ‘স্বপ্নের ফেরিওয়ালা’ এবং বেস্ট সাইলেন্ট ফিল্ম নির্বাচিত হল নব্যেন্দু সামন্তর ‘সমব্যথী’। বেস্ট কনসেপ্ট পেল দেবায়ন সাহার ‘পথিক’ এবং গৌরাঙ্গ ভূঁইয়ার ‘বিক্রি হয়ে গেছে স্বাধীনতা’। শোভন ব্যানার্জীর ‘ব্যবধান’, সুরজিৎ জানার ‘ইতি সত্য’, প্রদীপ চ্যাটার্জীর ‘রত্নদীপ’, বাদল সরকারের ‘স্নিগ্ধা’ এবং অশোকা চক্রবর্তীর ‘গল্প বলা ঠাম্মি’ পেল বেস্ট প্রোডাকশন অ্যাওয়ার্ড। স্পেশাল জুড়ি অ্যাওয়ার্ড পেল দিলীপ নস্করের ‘কালো ঘোড়া’। ক্রিটিক্স চয়েস অ্যাওয়ার্ড পেল সুব্রত সরদারের ‘ও আমার ছোট বোন’, বেস্ট এক্সপেরিমেন্টাল ফিল্ম সত্যেন সরকারের ‘আত্মা’ এবং বেস্ট ড্রামা ফিল্ম এওয়ার্ড পেল রাজকুমার মিত্রর ‘অপরাধ- এ ক্রাইম’। বেস্ট মাইক্রো ফিল্ম রীতা ঘোষের ‘ওয়াক ফ্রম হোম’ এবং সৌরভ ঘোষের ‘দ্য মর্নিং মার্কেট’। বেস্ট ডকুমেন্টারি ফিল্ম উম্মে সামসাদ জেরীনের ‘বুকের ভেতর অনেক ঝড় বুক পেতেছি গুলি কর’।


মিউজিক ভিডিওতে ‘আদরে ছুঁয়ে যাস’-এর জন্য দেবারতি গোস্বামী এবং ‘আমার মতই দূরে’র জন্য প্রজ্ঞাবন্তী ব্যানার্জী বিশ্বাস পেল বেস্ট লিরিসিস্ট। প্রত্যয় সতপতি ‘গণতন্ত্র’ এবং মণিদীপা চক্রবর্তী ‘ভালোবেসে সখি’র জন্য বেস্ট সিঙ্গার এওয়ার্ড পেলেন। বেস্ট স্ক্রিন প্লে এওয়ার্ড পেলেন ‘আগমনী সুর’ এর জন্য বিক্রম দেব সেনগুপ্ত। বেস্ট কনসেপ্ট গৌরাঙ্গ ভূঁইয়ার ‘আমি কেন বারবার প্রেমে পড়ে যাই’। বেস্ট স্টোরি তুষার কুমারের ‘আগর হো তুম’। বেস্ট মিউজিক ডিরেক্টর অ্যাওয়ার্ড পেলেন ‘গণপতি বাপ্পা মোরিয়া’ জন্য নবারুণ দাশগুপ্ত। বেস্ট সিনেমাটোগ্রাফার ‘প্রেম আমার’ এর জন্য পেলেন পার্থ মাইতি। বেস্ট এক্ট্রেস এওয়ার্ড পেলেন ‘যদি কিছু আমারে শুধাও’ এর জন্য ইলোরা মিত্র। বেস্ট এন্টারটেনিং মিউজিক ভিডিও হল প্রদীপ চ্যাটার্জীর ‘শর্মিলী গো যাচ্ছো কোথায়’ এবং বেস্ট মিউজিক ভিডিও এওয়ার্ড পেল শুভঙ্কর সাউয়ের ‘এই আকাশে’। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রামধনু চ্যারিটেবল ট্রাস্টের পক্ষ থেকে বর্ণালী সরখেল ও পিংকি সরকার।


Discover more from SRB News Bangla

Subscribe to get the latest posts sent to your email.