বর্ধমানের ভূমিপূত্র গঙ্গাধর ভট্টাচার্যের জীবনের শুরু ছাপাখানায় অক্ষর সংযুক্তি হলেও ইতিহাসে স্থান পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রথম বই প্রকাশক ও বিক্রেতা হিসেবে। সময়টা ছিল উনিশ দশকের মাঝামাঝি।

এমনকি ধাতু ও কাঠ খোদাই ছবির বইয়েরও প্রকাশক হিসেবে তিনিই ছিলেন প্রথম ব্যক্তি। পরবর্তী সময়ে তাঁর বইয়ের ব্যবসায় অংশীদার হন বন্ধু হরচন্দ্র রায়।এরপর বয়স বেড়েছে বয়সের। সময়ের স্রোতে হিকি সাহেব সিগনেট প্রেস থেকে শুরু করে বাঙালির গর্ব বিদ্যাসাগর পর্যন্ত বইয়ের ব্যবসায় সফল হয়েছেন। কিন্তু সময়ের দাবিতে প্রকাশনী ব্যবসায় এক সংকট আজ পিছু হটছে ডিজিটাল দুনিয়ায় আগ্রাসনে। তবু কিছু উদ্যমী বাঙালি উনিশ শতক থেকে বিশ শতক পর্যন্ত ব্যাপকহারে প্রকাশনার জগতে পা রাখেন। আবার একুশে শতাব্দীতে বেশি কিছু প্রকাশনার বন্ধ হয়ে গেছে।

কিন্তু এই প্রজন্মের যুবক স্বরূপ দত্ত ছ’টি সরকারি চাকরি প্রত্যাখ্যান করে স্থির করেছিলেন প্রয়োজনে চানাচুর বেচবেন, কিন্তু পরের গোলামি করবেন না। বাবার ছিল প্রেসের ব্যবসা। তবে কর্মী রাখলে গৃহশিক্ষক রাখতে অক্ষম বাবা তাই দিনের বেলা নিজেই মেশিন চালিয়েছেন স্বরূপ। রাতে পড়াশুনো। শৈশব হারিয়ে যায় অনটনের স্রোতে। এরপর ভবিষ্যত গড়তে প্রতিষ্ঠা করেন ভবিষ্যত প্রকাশনী। একদিকে লেখকদের সহযোগিতা অন্যদিকে রাজ্যের বহু লাইব্রেরির আধিকারিকের প্রেরণায় ২৫ বছর ধরে ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছেন।

শনিবার বইপাড়ার ঐতিহ্যবাহী মহাবোধি সোসাইটি মঞ্চে আয়োজন হয় ভবিষ্যত প্রকাশনীর সাহিত্যের সেরা সম্মান ২০২৪ অনুষ্ঠান।পুরষ্কারপ্রাপকদের মধ্যে অগ্রাধিকার পান নবাগত লেখকেরা। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ পান ও সংবর্ধিত হন সাহিত্যিক স্বপন বন্দোপাধ্যায়, জয়ন্ত দে, শুভমানস ঘোষ, লেখক ও বিজ্ঞানশিক্ষক রবীন্দ্রনাথ পাত্র , কবি সাহিত্যিক সুশান্ত গঙ্গোপাধ্যায়,মেঘ বসু, বাণীব্রত মুখোপাধ্যায় , চলচ্চিত্র ও নাট্য পরিচালক ভর্গনাথ ভট্টাচার্য শাস্ত্রী, ও অধ্যাপক জয়ন্ত কুশারী। ছিলেন রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সঞ্জয় দাস ও অভিনেত্রী, নাট্য পরিচালক কণিকা মজুমদার। সংবর্ধিত হন নবাগত লেখকেরা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শ্রুতিনাটক পরিবেশন করেন প্রদীপ মৌলিক ও তাঁর সংস্থার শিল্পীরা। ছিল সাহিত্য সম্পর্কে আলোচনাও।


Discover more from SRB News Bangla

Subscribe to get the latest posts sent to your email.