কলকাতা, ১৩ অক্টোবর: হামাসের অতর্কিত হামলা আর ইজরায়েলের প্রত্যাঘাত। আবার মৃত্যুপুরী গাজা। পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধের মেঘ ঘনাতেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছে টিভি নাইন বাংলা। ইজরায়েলে একমাত্র বাংলা চ্যানেল। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যুদ্ধের সব খবর সবার আগে আপনার ভাষায় আপনার কাছে পৌঁছে দিচ্ছি আমরা। টিভি নাইন বাংলার ক্যামেরায় ধরা পড়ছে পশ্চিম এশিয়ায় ছারখার হয়ে যাওয়া নাগরিক জীবন। নির্বিচার রকেট-মিসাইল ও গোলাগুলি বৃষ্টি। গণহত্যা। নিহতের একটা বড় অংশই শিশু ও নারী।

হামাসের বেপরোয়া হামলায় এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের শুরু হলেও দ্বন্দ্ব-সংঘাতের শিকড় রয়েছে আদি মধ্যযুগের ইতিহাসে। আধুনিক যুগে ইজরায়েলের রাষ্ট্র পত্তনের পর কেটে গিয়েছে দশকের পর দশক। তিন আব্রাহামীয় ধর্মের ধাত্রীভূমিতে ক্রমশ মুঠি শক্ত করেছে কট্টরপন্থী ইহুদিরা। আর এই আগ্রাসনে কোণঠাসা, আরও কোণঠাসা আরব প্যালেস্তিনীয়রা। গত শতকের আট-নয়ের দশকে আরব-ইজরায়েল শান্তি প্রচেষ্টা আজ সুদূরের স্বপ্ন।

দুই তরফে কট্টরপন্থীদের আস্ফালন, অস্ত্রশস্ত্রের ঝনঝানিতে ঢাকা শান্তির ললিত বাণী। জেরুসালেম তো বটেই, অধিকৃত গাজায় প্যালেস্তিনীয়দের জীবন আটকে গিয়েছে কাঁটাতার, চেকপোস্ট আর আইডি কার্ডে। নিজভূমিতেই যেন পরবাসী প্যালেস্তনিয়রা। স্বাধীন প্যালেস্তাইন নিয়ে তাই আর কোনও কথাবার্তাই নেই।

এরই মাঝে কয়েক মাস অন্তর গর্জে উঠেছে কালাশনিকভ রাইফেল-রকেট, তার প্রতিক্রিয়ায় অত্যাধুনিক ট্যাঙ্ক, ক্ষেপণাস্ত্র বা নিরাপত্তার নামে তল্লাশিতে দুরমুশ হয়েছে গাজাবাসী প্যালেস্তিনীয়রা। রক্তের দাগ মেলাতে না মেলাতেই আবার রক্তের হোলিখেলা। সব প্যালেস্তিনীয় তো আর জঙ্গি নন! ঠিক যেমন আগ্রাসী, কট্টরপন্থী নন সব ইহুদি। সব তবু শান্তির সঙ্গে মূল্য চুকিয়ে চলেছে বিবেক, মানবতা।

আন্তর্জাতিক মহল হয় চুপ নয় স্বার্থসিদ্ধির লক্ষ্যে কোনও পক্ষের পাশে। এই পক্ষ নেওয়ার রোগ দিন দিন আরও সংক্রামিত হয়েছে। গাজা ভূখণ্ডে নতুন যুদ্ধেও স্পষ্ট এমন পক্ষপাত। তবে এই পরিবেশেও বহু দশক নিরপেক্ষ ছিল নয়াদিল্লির নীতি। সম্প্রতি সেই নীতিতে বদল এসেছে। ইজারায়েল বা গাজায় এই নয়া যুদ্ধের অভিঘাত কতটা পড়বে ভারতে? পশ্চিম এশিয়া অশান্ত হলে তার প্রভাব পড়তে পারে তেলের দামে। এই সব বিষয় নিয়েই TV9 বাংলার নতুন নিউজ সিরিজ ‘গাজার মাটিতে হত্যাযজ্ঞ’। দেখুন ১৫ অক্টোবর, রবিবার রাত ১০টায়।


Discover more from SRB News Bangla

Subscribe to get the latest posts sent to your email.