কলকাতা, ১৯শে জানুয়ারি: ৮ জানুয়ারি, ২০২৫। প্রসব যন্ত্রণায় ছটফট করছিলেন মেদিনীপুরের মামনি রুইদাস। হাসপাতালে নিয়ে গেলে জানা যায়, সিজার করতে হবে। সে দিনই মা হবেন মামনি। ঘর আলো করে আসবে সন্তান। কিন্তু সে দিন কি তাঁর বাড়ির লোকেরা জানতেন যে ওই নবজাতক তার মায়ের মুখটাও দেখতে পাবে না? মামনির সঙ্গে সে দিন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সিজার ডেলিভারি হয়েছিল আরও চার অন্ত্বসত্তার। পাঁচ জনই চলে যান ভেন্টিলেশনে। মামনি মারা যাওয়ার পরে তিন জনকে নিয়ে আসা হয় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। তাঁদের অবস্থা এখনও উদ্বেগজনক। কেন এমন হল? অভিযোগ, যে স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল সদ্য মায়েদের, সেই স্যালাইন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। প্রশ্ন তার পরেও কী ভাবে দেওয়া হল সেই স্যালাইন? তদন্তে নেমে মেদিনীপুর মেডিক্যালের চিকিৎসকদেরই কাঠগড়ায় তুলেছে রাজ্য। সাসপেন্ড করা হয়েছে ৬ সিনিয়র ও ৬ জুনিয়র ডাক্তারকে।

চিকিৎসকদের যদি গাফিরলতি থাকে তা হলে তাঁরা নিশ্চয়ই শাস্তি পাবেন। কিন্তু স্যালাইনে গলদের প্রসঙ্গ কি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার? চিকিৎসক মহল এবং বিরোধী শিবিরের তেমনটাই অভিযোগ। বস্তুত, তিলোত্তমা ধর্ষণ খুনের ঘটনা রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর বেআব্রু ছবিটা প্রকাশ্যে এনে দিয়েছে। স্যালাইন কাণ্ড সেই তালিকায় নতুন সংযোজন। আবার নতুন হয়তো নয়-ও। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এ রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে জাল ওষুধ, খারাপ সরঞ্জামের রমরমা। যার পিছনে অবধারিত ভাবেই রয়েছে দুর্নীতি চক্র, কাটমানির খেলা। এর পর সাধারণ মানুষের আর ভরসা থাকবে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায়? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই বিশেষজ্ঞদের মতামত ও গ্রাউন্ড জিরোয় TV9 বাংলার অন্তর্তদন্ত-সহ TV9 বাংলার নতুন নিউজ সিরিজ ‘সর্বনাশা স্যালাইন?’। ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, রবিবার রাত ১০ টায়।


Discover more from SRB News Bangla

Subscribe to get the latest posts sent to your email.