Spread the love

কলকাতা, ১৫ জুন: স্লোগান উঠেছিল ‘অব কি বার চারশো পার’। বিজেপি ৩৭০, এনডিএ ৪০০। স্লোগানই সার, একক দল হিসেবে ম্যাজিক ফিগারই ছুঁতে পারেনি বিজেপি। কেন? কেন মসনদের লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়ল গেরুয়া শিবির? কেন কথা দিয়েও কথা রাখতে পারলো না তারা? তিন বড় রাজ্যের ফল দেখলেই উত্তর খানিকটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। উত্তরপ্রদেশ, বলা হয়, উত্তরপ্রদেশ যার দিল্লিও তার। ২০১৯ সালে ৮০ আসনের উত্তরপ্রদেশে ৬২টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। এবার অর্ধেকের একটু বেশি। ৩৩। ২০১৯ সালে রাজস্থানে ২৪ টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। এবার তা কমে হয়েছে ১৪। ২০১৯ সালে মহারাষ্ট্রে ২৩ টি আসনে জিতেছিল বিজেপি এবার মাত্র ৯ টি আসনে তাদের জয় এসেছে। আসন কমেছে বিহার, বাংলাতেও। দুই রাজ্য মিলিয়ে ছিল ৩৫, হয়েছে ২৪। হারের কারণ কী? সে সব খোঁজ খবর তো চলছেই! প্রকাশ্যে মুখও খুলছেন দিলীপ ঘোষের মত নেতারা। সেখানে কাঠিবাজি থেকে আরও কত তত্ত্ব বেরিয়ে আসছে প্রতিদিন। পোস্টমর্টেম চলছেই। কিন্তু তারই মাঝে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে শপথ নিল এন ডি এ সরকার।

৯ জুন। ঘড়ির কাঁটায় সন্ধ্যে ৭.১৫। রাষ্ট্রপতি ভবন। তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নরেন্দ্র মোদি। শপথ নিল এন ডি এ সরকার। ১৪ আর ১৯ দুবার একার জোরে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। এবার কিন্তু শরিকরা অনেক বড় ভরসা। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি একাই ৩০৩টি আসন জিতেছিল। এবার চারশো তো অনেক দূর, তিনশো পেরোয়নি। মন্ত্রীদের মধ্যে স্মৃতি ইরানি, রাজীব চন্দ্রশেখর, অর্জুন মুন্ডা, সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি, আর কে সিংহ, মহেন্দ্রনাথ পাণ্ডে হেরে গিয়েছেন। নিশীথ প্রামাণিক ও অজয় মিশ্র টেনি, দুই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী হেরেছেন। শক্তি বাড়িয়েছে ইন্ডি জোট। মোদি সরকারের দু পা চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি আর নীতিশ কুমারের জেডিইউ। কোনও বড় মন্ত্রিত্ব নেই শরিকদের কাছে! বিজেপি নিজের পকেটে সব ক্ষমতা রেখে চলতে পারবে তো পাঁচ বছর? দেশ শেষ দশবছর এক পার্টি, এক নেতাকে ভোট দিয়েছে কারণ অতীতের আয়ারাম গয়ারাম জোট সরকারকে ভালো চোখে দেখেননি দেশের মানুষ। অটল বিহারী বাজপেয়ী নয়ের দশকে দুবার হোঁচট খেলেও ৯৯ তে পাঁচ বছর চালিয়েছেন। মনমোহন সিংকেও বারবার ঝড়ঝাপটা সামলে সরকার চালাতে হয়েছে। মোদির কাছে প্রথম জোটের চ্যালেঞ্জ। কীভাবে সামলাবেন তিনি? কীভাবে সামলাবে বিজেপি? এইসব নিয়েই TV9 বাংলার নতুন নিউজ সিরিজ ‘জোট রাজনীতির প্রত্যাবর্তন’। ১৬ জুন, রবিবার রাত ১০ টায়।