
রাজা পাট রোপনে ক্রমশ উৎসাহ বাড়ছে চাষিদের মধ্যে। কারন তারা রাজা পাটের গুণাবলী সম্বন্ধে আজ যথেষ্ট ওয়াকিবহাল।তাইতো রাজ্যের পাট চাষ এলাকায় ‘রাজা এন জে ৭০০৫’ এর রমরমা বাজার।

শুধুমাত্র বাড়তি লাভ নয়, রাজা পাট চাষ করে একর প্রতি অতিরিক্ত ১০ হাজার টাকা লাভের মুখ দেখেছেন চাষিরা। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় অভাবনীয় সাফল্যে খুশি এই পাটবীজের উদ্ভাবক সংস্থা নুজিভীডু সিডস।
উৎপাদনকারী সংস্থা জানিয়েছে, এটা সম্ভব হয়েছে রাজা পাটের লম্বা আঁশ এবং অন্যান্য প্রজাতির চেয়ে এর একর প্রতি ন্যূনতম বাড়তি ২ কুইন্টাল উৎপাদন বেশি হওয়ার ফলে। তাদের দাবি, ২০২০ সালে, এন জে-৭০০৫ রাজা পাটের এই নতুন প্রজাতি নুজিভীডু সীডস এর গবেষণা বিভাগের প্রধান বিজ্ঞানী ডঃ মোহাম্মদ মসিউর রহমান কতৃক উদ্ভাবিত। তার পর থেকে পাট চাষের দুনিয়া অনেকটা বদলে গেছে। এই চাষে খরচ অন্যান্য পাটের প্রজাতির তুলনায় কম, সঙ্গে পাওয়া যায় উচ্চ ফলন, আরও ভালো গুণমানের তন্তু ও আগের চেয়ে বেশি লাভের সুযোগ। অন্যান্য প্রজাতির তুলনায় এই পাট দু ফুট বেশি লম্বা, অর্থাৎ বেশি ফলন, মোটা ছাল যা ফলন এবং তন্তুর গুণমান বাড়িয়েছে।

ছাল মোটা হওয়ায় তন্তুর মানও অনেক উন্নত। তাই ফলনের সঙ্গে মান বেশি হওয়ায় দামও বেশি পাচ্ছেন চাষিরা। ভারতে মূলত যে ধরনের পাট চাষ হয় তার আঁশ বাংলাদেশের পাটের আঁশের চেয়ে ছোট হওয়ায় শিল্পক্ষেত্রে সমস্যা হয়ই। এখন সেই সমস্যার সমাধান হবে এনজে ৭০০৫ রাজা জুট চাষ করে।
এই সাফল্য তুলে ধরতে তারা মুর্শিদাবাদের খযরামারি, রানীনগর এবং নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর কালীগঞ্জে ‘মেগা ফিল্ড ডে’ অনুষ্ঠিত করেছেন।মুর্শিদাবাদের প্রোগ্রামে রাজা পাট নিয়ে গান গেয়ে শোনান জী টিভি সারেগামা খ্যাত সেলিব্রিটী দীপায়ন ব্যানার্জী। কৃষ্ণনগরে অর্ঘজ্যোতি ব্যান্ড তাদের পারফর্মেন্সের মাধ্যমে কৃষকদের আনন্দ দান করে। ইতিমধ্যেই বাড়তি লাভের মুখ দেখেছেন বিভিন্ন গ্রামের চাষিরা। তাই ভবিষ্যতেও তাঁরা এই বীজই চাষ করতে চান বলে জানান। যাঁরা এখনও এই বীজে চাষ শুরু করেনি, এই গানে-বিনোদনে উদ্বুদ্ধ হয়ে তাঁরাও রাজা পাট চাষে উৎসাহ পাচ্ছেন।
Discover more from SRB News Bangla
Subscribe to get the latest posts sent to your email.