রাস্তার ধোঁয়া,ধুলো ও অপুষ্টির কারনে পরিবহন কর্মী,নির্মাণ শ্রমিক সহ প্রান্তিক মানুষদের মধ্যে যক্ষা বা টিবি রোগের প্রবণতা অনেকটাই বেশি।


দেশ থেকে যক্ষা নির্মূল করার লক্ষ্যে
‘টিবি হারেগা, দেশ জিতেগা’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে গত বছর ৯ ডিসেম্বর থেকে এ বছর ২৪ মার্চ পর্যন্ত জাতীয় যক্ষা নির্মূলকরণ কর্মসূচি ‘টিবি দূরীকরণ ১০০ দিনের পণ’ নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সেই প্রচার অভিযানের অঙ্গ হিসেবে এবং টিবি বা যক্ষা মুক্ত ভারত গড়ে তোলার লক্ষ্যে সল্টলেকের নবদিগন্ত বাস টার্মিনাসের বাস চালক,বাস কর্মী ও প্রান্তিক মানুষদের যক্ষা পরীক্ষা বা স্ক্রিনিং করা হল ন্যাশনাল স্মল ইন্ডাস্ট্রিস কর্পোরেশন(NSIC) র উদ্যোগে।
তার আগে বাস কর্মীদের যক্ষা সচেতনতামূলক টুপি পরিয়ে দেন এন এস আই সি-র কলকাতার জোনাল জেনারেল ম্যানেজার ডক্টর অনুপম গায়েন,উত্তর ২৪ পরগনা জেলা টিউবারকুলেসিস অফিসার ডাক্তার পিনাকী ভট্টাচার্য, এনএসআইসির সিনিয়র ব্রাঞ্চ ম্যানেজার অরুনাভ দাস।


এরপর যক্ষা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে এক আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়।
ড.অনুপম গায়েন বলেন, দেশ থেকে যক্ষা নির্মূলকরণের লক্ষ্যে এই কর্মসূচি রূপায়নে মানুষের মধ্যে অনেকটাই যক্ষা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা গেছে। যক্ষা আক্রান্তের প্রবণতাও ক্রমশ কমছে। এই রোগ দেশ থেকে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করতে আরো নতুন নতুন কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন,যক্ষা নির্মূলকরনে স্ক্রিনিং আরো বৃদ্ধি করা দরকার৷ এর জন্যে পরিকাঠামো উন্নয়নে কর্পোরেট ও সরকারি সংস্থাগুলিকেও এগিয়ে আসার আহবান করেন তিনি।
ডক্টর পিনাকী ভট্টাচার্য্য বলেন,টিবি রোগ হয়েছে কিনা তার পরিক্ষা এবং টিবি রোগ ধরা পড়লে সরকারীভাবে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও নিক্ষয় পোষন যোজনায় আর্থিক সাহায্যও দেওয়া হয়। সে ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করতেই এই উদ্যোগ।


Discover more from SRB News Bangla

Subscribe to get the latest posts sent to your email.