Spread the love

শ্রীজিৎ চট্টরাজ : ২০১৫/১৬ বার্ষিক সমীক্ষায় পুরুষ ও নারীর অনুপাতের নিরিখে ৯৯১ থেকে প্রতি হাজারে বেড়ে হয়েছে ১০২০। সমীক্ষা বলছে একদিকে নারী শিশুর সংখ্যা যেমন বেড়েছে তেমন নারীর আয়ু বেড়েছে। পশ্চিমবঙ্গে বৃদ্ধির সংখ্যা ১৩ শতাংশ। যদিও দেশে লিঙ্গ নির্ধারণ নারী ভ্রূণ হত্যা এখনও চলছে। অন্যদিকে নারী জনসংখ্যা ও আয়ু বৃদ্ধির ফলে বয়স্ক স্বামীহীন বৃদ্ধার সংখ্যা বাড়বে। বাড়বে গাহস্থ্ হিংসা। যা চিন্তারও কারণ। কিন্তু প্রাসঙ্গিক বিষয় ভারতে নারীর রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ হ্রাস। ভারতে জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার একটি প্রধান বিষয় সাম্প্রতিক সমীক্ষায় জানা গেছে,১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী ভারতীয় মহিলাদের ৫২ শতাংশ রক্ত শূন্যতায় ভোগেন। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে দেশের ছাত্রীদের হিমোগ্লোবিন মাত্রা জানার বিশেষ পরীক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পিছিয়ে নেই বিশ্বের অন্যতম মেডটেক সংস্থা। নারী দিবসের প্রাক্কালে কলকাতা সংলগ্ন দমদম আনন্দ আশ্রম সারদা বিদ্যাপীঠে এই সংস্থা হিমোগ্লোবিন স্ক্রিনিং ডিভাইস ইজিচেকের সাহায্যে রক্ত ছাড়াই এই পরীক্ষার বিআয়োজন করা হয়। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই স্কুলের প্রায় ৩০০ ছাত্রীর হিমোগ্লোবিনের মাত্রা নির্ণয় করা হয়।

এদিনের অনুষ্ঠানে সমাজের বিশিষ্ট নারীদের উপস্থিতি ছিল। ছিলেন, লেখিকা দেবারতি মুখোপাধ্যায়, সমাজসেবী দোলন মুখোপাধ্যায়, বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্সের আই টি অন্ত্রপ্রণর অ্যান্ড ইকমার্স কমিটির একজিকিউটিভ ডিরেক্টর অনিতা আঢ্য, দমদম আনন্দ আশ্রম সারদা বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষিকা ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ইন্দ্রানী ভদ্র ইজিআরএক্সের তরফে অনুষ্ঠানে প্রতিনিধিত্ব করেন সংস্থার কো ফাউন্ডার ও সি ই ও চৈতালি রায়। হিমোগ্লোবিন পরীক্ষা শিবিরের পাশাপশি দুটি আলোচনা চক্র অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানে মেডটেক সংস্থার তরফ দুটি প্রযুক্তির উন্মোচন করা হয়। মহিলাদের ফার্টিলিটি সংক্রান্ত পরীক্ষার মেশিনটির নাম ওভা ফাইভ, আরেকটি থাইরয়েড স্টিমুলিটিং হরমোন পরীক্ষার যন্ত্র। অনুষ্ঠানে সংস্থার তরফে চৈতালি রায় জানান, সংসারের সব সদস্যের দেখভাল করতে গিয়ে মেয়েরা বরাবর নিজেদে স্বাস্থ্যের ব্যাপারে উদাসীন থাকেন। ফলে অগোচরে নারীর দেহে বাসা বাঁধে বিভিন্ন রোগ। যা পরবর্তী প্রজন্মের জন্যও ক্ষতিকর।,,২০১৮ সালে বিশ্বের অন্যতম মেডটেক সংস্থার নির্মাণ। সংস্থার একটিই শ্লোগান মেডটেক ফর দি মাস।