Spread the love

কলকাতা, অগাস্ট ১৭, ২০২৩: বৃহস্পতিবার, অ্যাডামাস বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হল ‘উদ্ভাবন ও শিল্পোদ্যোগ সম্মেলন ২০২৩’। বিশ্ববিদ্যালয়ের ই-যুব কেন্দ্রের দু’দিনের এই অনুষ্ঠান আয়োজনে সহযোগিতা করে ভারত সরকারের সংগঠন ‘বাইরাক’ (BIRAC), যার মূল লক্ষ্য উদ্যোগী বাস্তুতন্ত্র এবং উদ্ভাবন ও শিক্ষার মধ্যে থাকা দূরত্ব কমিয়ে আনা।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে দুই পক্ষের বহু সরকারি কর্মী, উদ্ভাবক, তহবিল সংস্থার সদস্য ও আরও অনেকেই অংশগ্রহণ করেন। শুক্রবার, ১৮ অগাস্ট উদযাপিত হবে সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান।

প্রফেসর (ড.) সমিত রায়, চ্যান্সেলর, অ্যাডামাস বিশ্ববিদ্যালয় সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব এই সম্মেলনে অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম প্রফেসর (ড.) নবীন দাস, প্রো ভাইস চ্যান্সেলর (ট্রেনিং, প্লেসমেন্ট অ্যান্ড কর্পোরেট রিলেশনস), অ্যাডামাস বিশ্ববিদ্যালয়; ড. শুভ্ররঞ্জন চক্রবর্তী, ডিরেক্টর (অপারেশনস) বিআইআরএসি; ড. মনীশ দিওয়ান, প্রধান, ‘বাইরাক’-এর স্পেড (SPED) বিভাগ; এবং ডি মিত্র, যুগ্ম পরিচালক, এমএসএমই (MSME), ভারত সরকার।

এছাড়াও এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ড. ছায়া চৌহান, সিনিয়র ম্যানেজার ইনকিউবেশন, ‘বাইরাক’; রাভীশ মালিক, সহকারী ম্যানেজার (বায়োটেক এবং ফার্মা) ইনভেস্ট ইন্ডিয়া; প্রফেসর নাহিদ আলি, রাজা রামান্না ফেলো, জে.সি বোস ফেলো, সিএসআইআর-আইআইসিবি।

ইনোভেশন অ্যান্ড স্টার্ট-আপ এক্সপো-তে প্রদর্শিত হয় একাধিক অভিনব পরিকল্পনা, শিল্পোদ্যোগ এবং পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এনজিও এবং কারিগরদের বিভিন্ন উদ্যোগের বিষয়গুলি। ৩০টিরও বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং স্কুল, বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা কেন্দ্র এবং তহবিল সংস্থা এই অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। সেখানে আগামী দিনের শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য সঠিক পরিবেশ গড়ে তোলার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়।

এদিন কল্যাণী ইনোভেশন নেটওয়ার্ক বা ‘কিন’-এর পথ চলাও শুরু হয় এই অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে। পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একত্রিত প্রয়াসের ফলাফল এই ‘কিন’, যার লক্ষ্য বাংলার যুব সমাজকে উদ্ভাবন ও শিল্পমুখী করে তোলা। সেই প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে রয়েছে অ্যাডামাস বিশ্ববিদ্যালয়, আইআইএসইআর কলকাতা, আইআইআইটি কল্যাণী, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, ম্যাকাউট, এইমস কল্যাণী, এবং বিসিকেভি।

এই বিষয়ে, বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর অধ্যাপক সমিত রায় বলেন, ‘উদ্ভাবন ও শিল্পোদ্যোগ সম্মেলন ২০২৩-এর আয়োজনে আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল পড়াশোনা করা ও শিল্পমুখী হওয়ার মধ্যে থাকা সমস্ত দূরত্ব ঘুচিয়ে ফেলা। এই অনুষ্ঠানে যে ‘কিন’-এর উন্মোচন হল, তার ফলে বাংলার যুব সমাজের হাত ধরে অভিনবত্ব ও বদল আসবে বলেই আমাদের ধারণা।

বাইরাক-এর ডিরেক্টর (অপারেশনস) ড. শুভ্ররঞ্জন চক্রবর্তী জানান, এই প্রজন্মের উচিত কেবলমাত্র কাজের খোঁজ না করে, কাজের সংস্থান তৈরি করাও। নইলে নতুন শিল্প গড়ে ওঠার পথে বাধা থেকেই যাবে। তাই অভিনবত্ব বজায় রেখে শিল্পোদ্যোগী ও শিল্পমুখী হয়ে ওঠা জরুরি।