আলোর সাঁকো নৃত্যাঙ্গন ডান্স একাডেমীর বার্ষিক নৃত্যানুষ্ঠান উদযাপিত হল দমদম মোহিত মৈত্র মঞ্চে। বিশিষ্ট অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শ্রী সুজয় ঠাকুর, শ্রী সুমন মৈত্র , শ্রী সৌভিক চক্রবর্তী , এবং ড: উপেন্দ্র শর্মা। সঞ্চালনায় ছিলেন শ্রীমতি শ্রাবন্তী বিশ্বাস । মোহিত মৈত্র মঞ্চ রঙিন হয়ে উঠল ৭ ই জানুয়ারি সন্ধ্যায় । সমগ্র অনুষ্ঠানের ভাবনা ও পরিচালনায় ছিলেন নৃত্যাঙ্গনের কর্মধার শ্রীমতি শর্মিষ্ঠা ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন হয় প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে এবং মঞ্চে শ্রীমতি শর্মিষ্ঠা এবং শিক্ষার্থীরা কত্থকের মূর্ছনায় এক মুগ্ধতার পরিবেশ বর্ণন করে। সাথে ছিল তবলা পাখও আজ আর শরদের অনবদ্য সুর সঙ্গম। মঞ্চে আলোর স্রোতে ছোট্ট কচিকাঁচার দল যেন হাজার প্রজাপতির রং ছড়িয়ে দিল তাদের পরিবেশনায়। একের পর এক প্রতিটি উপস্থাপনা দর্শকের মন ছুঁয়ে যায়, কখনো যেমন ছিল সামাজিক প্রেক্ষাপটকে মূল আধার করে নৃত্যনাট্য,আবার কখনো মানব জীবনের সহজতাকে প্রতীক করে গল্প লেখা, ঠিক তেমনি শুধু মনোরঞ্জনের মাধ্যমে দর্শককে আনন্দে ভরিয়ে দেওয়া।
এদিনের অনুষ্ঠানের অতিথিরা প্রত্যেকেই শিল্পীদের নিষ্ঠার প্রশংসা করে শ্রীমতি শর্মিষ্ঠাকে উৎসাহ দেন আগামী প্রজন্মের মধ্যে সুস্থ সাংস্কৃতিক মনন গড়ে তোলার জন্য। আমাদের ঐতিহ্যকে ধারণ করে চলার পেছনে শিক্ষকদের পাশাপাশি অভিভাবকদের ভূমিকাও অন্যতম। নৃত্যাঙ্গনের এই বার্ষিক উৎসবে মায়েরাও সমান পারদর্শিতার সাথে মঞ্চে নৃত্য পরিবেশন করেছেন।
মঞ্চে সুর ও তালের অপূর্ব মেলবন্ধন সৃষ্টি করেন তবলা ও পাখোয়াজেকে সঙ্গত করে শ্রী বাপ্পাদিত্য রায় ও গ্রুপ। রবীন্দ্র সংগীতকে আধার করে মানব জীবনের ছয় রিপুকে নিয়ে এক অন্যতম নৃত্যনাট্য মন ভরিয়ে দিল শিক্ষার্থীদের সমবেত পরিবেশনা। গল্পের আঙ্গিকে মঞ্চে শিল্পীরা তুলে ধরলেন আমাদের দেশের বর্তমান প্রেসিডেন্ট শ্রীমতি দ্রৌপদী মরমুর জীবন কাহিনী।
মঞ্চে যেন লেখা হলো এক বহমান কাহিনী যেখানে আঞ্চলিক কবিতা, লোক গান এবং নৃত্যের পাশাপাশি প্রতীক হয়ে রইল শিল্পীদের অভিনয়। বিশেষ আকর্ষণ ছিল ইতিহাসের পাতা থেকে রাজা যজাতির অভিশপ্ত ভালবাসার কাহিনী। মঞ্চে একের পর এক অনুষ্ঠানের যে ডালি সাজানো হলো সেদিন তার গ্রন্থনীয় ছিলেন সঞ্চালিকা শ্রাবন্তী এবং নৃত্যাঙ্গনের শিক্ষার্থী শান্তনু। সমাপ্ত অনুষ্ঠানটি দর্শককে স্মরণ করায় সংগীত সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরের জীবনের শুরু থেকে শেষ সংগীত অধ্যায়। বিশেষ কৃতজ্ঞতা স্বীকার শ্রী সুব্রত বাপি ঠাকুরকে পোশাক ও রূপসজ্জার জন্য এবং শ্রী রাকেশ বকান কে অনবদ্য আলোকসজ্জা পরিচালনার জন্য। নৃত্যাঙ্গনের প্রতিটি শিল্পী নিজেদের মঞ্চে দক্ষতার সাথে মেলে ধরার চেষ্টা করেছে এদিন। এবং এই অনুষ্ঠান সর্বাঙ্গীণ সুন্দর ও সাফল্যমন্ডিত হয়ে উঠেছিল।
নৃত্যাঙ্গন ডান্স একাডেমি
শর্মিষ্ঠা ভট্টাচার্য
Discover more from SRB News Bangla
Subscribe to get the latest posts sent to your email.