Spread the love

|

গল্পটি একটি রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী বব কে নিয়ে। বব ও তার স্ত্রী নিমিশা একদিন সকালে গাড়ি নিয়ে নিমিশার বাপের বাড়ির অভিমুখে যাত্রা শুরু করে। গল্পের সূত্রে জানা যায় যে বব প্রথমবার তার শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছে।

তাদের এই যাত্রা পথে, সমস্যা শুরু হয় যখন নির্জন হাইওয়ের রাস্তায় হঠাৎ তাদের গাড়ি খারাপ হয়ে যায়। অগত্যা বব ফোন করে একটি tow truck কে তলব করে। ইতিমধ্যে তাদের সাহায্য করতে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় সেই পথেই চলা একজন ব্যক্তি। তাকেই বব বাধ্য হয়ে বিশ্বাস করে অনুরোধ করেন, যে তার স্ত্রী অস্বস্তি বোধ করছেন… যদি নিকটবর্তী কোনো পেট্রোল পাম্প এ তার স্ত্রী নিমিশা কে তিনি নিয়ে যেতে পারেন ওয়াশরুম ব্যাবহার করার জন্যে।
এই ব্যক্তির গাড়িতে চড়েই পেট্রোল পাম্প এর অভিমুখে রওনা হয় নিমিশা।

রহস্যজনক ভাবে এর পর থেকেই নিমিশাকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না। উদ্ভ্রান্ত হয়ে বব পুলিশের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু তারাও প্রাথমিক স্তরে বব কে অবিশ্বাস করে, কারণ ববের কাছে প্রমাণস্বরূপ কিছুই ছিল না যে নিমিশা তারই সাথে সেই যাত্রায় বেরিয়েছিলো। তার স্ত্রী কে সাহায্য করতে এগিয়ে আসা ব্যক্তি কে খুঁজে পাওয়া গেলে সেও জানায় যে ববের সাথে কোন মহিলাকে সে দেখেনি। এমনকি তদন্তের জন্যে তার শ্বশুর বাড়িতে পুলিশ গেলে তার শাশুড়িও অস্বীকার করে তাকে চিনতে।
টেনশন বাড়তে থাকে, কিন্তু নিমিশার কোন হদিশ না পেয়ে পুলিশের সন্দেহ হয় যে আসলে নিমিষা বলে আদৌ কেউ ছিল কি না। তদন্ত চলাকালীন তাদের মনে হতে লাগে যে, পুরো ঘটনাটি মিথ্যে সাজিয়ে তুলে ধরেছে বব।

কাহিনীর প্রেক্ষাপটে রহস্য আরো ঘনীভূত হয় ঠিক তখনই যখন এই সব সমস্যায় জর্জরিত ববের কাছে জনৈক কিডন্যাপারের ফোন আসে, এবং সে বড়সড় মুক্তিপণ দাবী করে জানায় যে নিমিশাকে কিডন্যাপ করা হয়েছে।
পরতে পরতে রহস্যের কুয়াশা আরো জটিল হয়ে ওঠে ।
পুলিশ এবং বব তৎপর হয় নিমিশা কে উদ্ধার করতে।

কিন্তু রুদ্ধশ্বাসে কাহিনী অগ্রসর হতে আমরা ক্রমান্বয়ে জানতে পারি, যে এই পুরো ঘটনার পেছনে এক কুচক্রী মাথা আছে।

কে সেই মাস্টারমাইন্ড যে এই পুরো ঘটনাটি সাজিয়েছে?
বিশ্বাস, অন্তর্ঘাত আর প্রতিঘাতের কোন অদ্ভুত প্যাঁচের ওপরে প্যাঁচে, গল্পের শেষে পুরো রোমহর্ষক ঘটনাটির পর্দা ফাঁস হবে?

এই সবের উত্তর পাওয়া যাবে এই মাসের শেষে।
KLIKK OTT প্ল্যাটফর্ম এ, জন হালদার er প্রযোজিত ও পরিচালিত, আগামী ওয়েব সিরিজ NH6 এ

অভিনয়ে:

রাজেশ শর্মা
দেবলীনা দত্ত
যুধাজিত সরকার
গৌরব মল্লিক
মধুমিতা সেনগুপ্ত

প্রযোজনা ও পরিচালনা: জন হালদার
কাহিনী: সৌমিক চট্টোপাধ্যায়
কার্যনির্বাহী প্রযোজক: প্লাবন বসু
সিনেমাটোগ্রাফার: অনির
সঙ্গীত নির্দেশক: দিশারী
চিত্রনাট্য, সংলাপ ও প্রধান সহকারী পরিচালক: সঞ্জয় ভট্টাচার্য
এডিটর: কৌশিক সরকার