Spread the love

এই প্রথম কোনো ব্র্যান্ড প্রবাদপ্রতিম হাওড়া ব্রিজে দক্ষ শিল্পীদের তৈরি অতিকায় আলপনা আঁকল,
ঐতিহ্য ও উদ্ভাবনের সংমিশ্রণে এ এক চমকপ্রদ শিল্পকর্মের নিদর্শন

কলকাতা, অক্টোবর 14, ২০২৩ – কলকাতার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারের বর্ণাঢ্য উদযাপন হিসাবে টাটার উদ্যোগ, ক্রোমা, মা দুর্গার আবাহনে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি পোর্ট ট্রাস্টের সঙ্গে মিলে প্রবাদপ্রতিম হাওড়া ব্রিজে গর্বের সঙ্গে উন্মোচন করল এক অভিনব অপূর্ব আলপনা। এই আলপনা আঁকা হয়েছে ইলেকট্রনিক গ্যাজেটের মোটিফের উপর ভিত্তি করে, যাতে মানুষের জীবনে ইলেকট্রনিক্সের গুরুত্ব বোঝা যায়। ক্রোমা আলপনা দেখতে জড়ো হওয়া জনতা এই বর্ণাঢ্য উদ্বোধনকে বিপুল হর্ষধ্বনিতে অভিনন্দন জানায়। এইভাবে শহরে শুভ দুর্গাপুজো উৎসব শুরু হয়ে গেল ঐতিহ্য ও উদ্ভাবনের সংমিশ্রণে এক চমকপ্রদ শিল্পকর্মের নিদর্শনের মাধ্যমে।

হাওড়া ব্রিজে আঁকা অতিকায় আলপনার মাধ্যমে ক্রোমা তার ক্রেতাদের সঙ্গে এক গভীরতর, অধিকতর আবেগের স্তরে সংযোগ স্থাপন করল প্রযুক্তির মাধ্যমে তাঁদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করার বার্তা সমেত। ক্রোমা যা কিছু করে সবই যে ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে তাঁদের প্রতি দায়বদ্ধতার কারণে, এই আলপনা তারই প্রমাণ। দক্ষ এবং জনপ্রিয় শিল্পী সঞ্জয় পাল ও তাঁর দলের করা এই অপূর্ব আলপনা আঁকার কাজে যুক্ত ছিলেন অন্বেষক দাঁ এবং গভমেন্ট আর্ট কলেজের ৮০ জনের বেশি ছাত্রছাত্রী। তাঁরা কলকাতার মেজাজ এবং শৈল্পিক ঐতিহ্যকে যথাযথভাবে এই আলপনায় ধরেছেন। এতে শহরের বৈচিত্র্যপূর্ণ সাংস্কৃতিক নকশা তুলে ধরা হয়েছে, যা স্থানীয় মানুষ আর অতিথিদের একইভাবে উৎসবের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ করে। এর পরিকল্পনা ক্রোমা টিম আর ফিউচুয়েরা ইনকর্পোরেটেডের, হাতে কলমে স্থাপন করেছে দ্য ব্র্যান্ড স্ট্রিট।

এই উপলক্ষে শিবাশিস রায়, চিফ অপারেটিং অফিসার, ক্রোমা, বললেন “আমরা ২০১৯ সালে কলকাতায় আমাদের প্রথম স্টোর লঞ্চ করি। তারপর থেকে গত দুবছরে আমরা দ্রুত ব্যবসা বড় করেছি। বাড়তে থাকা চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ১৪টা স্টোর চালু করেছি। আমরা উৎসবে যোগ দিতে এবং স্থানীয় মানুষের আবেগের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করতে পেরে আপ্লুত। আমরা এখানে এসেছি আমাদের মনোযোগী ক্রেতাদের ইলেকট্রনিক জিনিসপত্রের কেনাকাটার অভিজ্ঞতার পরিপূরক হিসাবে কাজ করতে। আমাদের অনন্য ক্রেতা পরিষেবা এবং এক ছাদের তলায় গ্যাজেটের এক বিস্তীর্ণ সম্ভার নিয়ে আমাদের লক্ষ্য এবারের পুজোকে প্রত্যেকের জন্য একেবারে অন্যরকম করে তোলা।”

এছাড়া শহর জুড়ে পুজো প্যান্ডেলগুলোতেও ক্রোমাকে দেখা যাবে। মুদিয়ালি ত্রিকোণ পার্ক, চোরবাগান সার্বজনীন, দমদম তরুণ দল, আহিরীটোলা, বাগবাজার সার্বজনীন আর মুদিয়ালি শিবমন্দিরে ক্রোমা প্রযুক্তিগত সমাধান দিয়ে কলকাতার উৎসবের মেজাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছে।

উপরন্তু স্থানীয় মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে এবং তাঁদের সচেতনতা বাড়াতে ও নিজেদের অফারগুলো বাড়াতে ক্রোমা স্থানীয় মানুষের সঙ্গে মিশে মল অ্যাক্টিভেশন করছে, যেখানে ক্রোমা ওন লেবেল প্রোডাক্ট থাকছে। ক্রোমা সক্রিয়ভাবে রেসিডেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনগুলোর সঙ্গে আকর্ষণীয় প্রতিযোগিতা ও অফার নিয়ে যোগাযোগ করছে গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে গভীরতর সংযোগ গড়ে তোলার জন্য।