Spread the love

শ্রী জিৎ চট্টরাজ : বয়স বাড়ছে দেশের। অথচ ক্রমশ অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে দশ। দশ যখন নিরাপত্তাহীন তখন দেশও যে নিরাপদে নেই একথা বলার অপেক্ষা রাখে না। ১৪০ কোটি জনসংখ্যা নাকি দেশের আর্থিক বুনিয়াদিকে দূর্বল করে। রাষ্ট্রের কর্তাদের এমনই অভিমত। কিন্তু অধিক জনসংখ্যা মানে অধিক মানব সম্পদ। এই মানব সম্পদের নির্মাণ হয় উপযুক্ত শিক্ষায়। কিন্তু দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ত্রুটিতে মানব সম্পদের বিকাশের কোনো সূত্র নেই। ফলে একদিকে অদক্ষ শ্রমিক অন্যদিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগে মুনাফা এই তথ্যে বিশ্বাসী কর্মসংস্থানের হোতারা চাকরির বাজার ক্রমশ সংকুচিত করছেন। রাষ্ট্রীয় প্রচারে দেশের অগ্রগতির কথা বলে যা প্রচার আসলে সেটি জব লেস গ্রোথ। অর্থাৎ কর্মচ্যুত উন্নয়ন। সীমিত সরকারি চাকরি। শূন্যপদে লোক নিয়োগ স্থগিত বা স্থূল গতি অন্যদিকে বেসরকারি হাতে বিলগ্নিকরণের নামে দেশের আর্থিক কাঠামো অর্পণ জনগণের জন্য নেতিবাচক হয়ে উঠছে। চাকরির মোহ থেকে মুক্ত করার জন্য স্বনির্ভর ভারত গড়ার ডাক দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। অথচ ২০২৩/২৪ আর্থিক বছরের বাজেটে ছিল না বেকার সমস্যা সমাধানের কথা। ২০২৩/২৪ অন্তর্বর্তী বাজেটে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন স্টার্ট আপে কর সংক্রান্ত অনেক সুবিধে দেওয়া হয়েছে ফলে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে। কিন্তু খাতায় কলমে যা ছবি বাস্তবে কতটা চিত্রায়িত হবে বহু অর্থনীতিবিদ এই বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

চাকরির বাজার সংকুচিত। তাই বিকল্প হিসেবে ক্ষুদ্র,ছোট ও মাঝারি শিল্প উদ্যোগী গড়ে তুলতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মাইক্রো, স্মল ও মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজেস প্রতিষ্ঠা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে। স্বনিযুক্তির প্রধান বাধা পুঁজি , দক্ষতা ও বাজার বিপণন। এই বাধা কাটাতে সংস্থার পক্ষে দেশ জুড়ে সচেতনতা শিবির সংগঠিত হয়। শুক্রবার সকালে সল্টলেকের একটি হোটেলের ব্যাঙ্কয়েটে পাঁচদিন ব্যাপী এমন এক শিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হলো হায়দ্রাবাদ এম এস এম ই হায়দ্রবাদের উদ্যোগে। যেটি পরিচালনা করেন উদ্যোগপতি অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়। যিনি এ্যাসেন্সিভ এডুকেয়ার লিমিটেড গ্রুপ অফ কোম্পানির কর্ণধার। বিষয় ছিল স্বনিযুক্তি ব্যবসা ও উৎপাদিত পণ্যের বিদেশে রফতানি সংক্রান্ত তথ্য। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত শিক্ষক , ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর এম এস এম ই , ফ্যাকাল্টি, উদ্যোগীদের প্রয়োজনীয় গ্রন্থের লেখক ড: দিবেন্দু চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বস্ত্র শিল্প বিভাগের সহকারি পরিচালক আকাশ শ্রীবাস্তব, শিশু বিকাশ সংস্থার পরিচালক বাচস্পতি চৌধুরী ও অধ্যাপক নিবেদিতা গুপ্তা।

অনুষ্ঠান সঞ্চালক অ্যাসেন্সিভ এডুকেয়ার লিমিটেডের কর্ণধার অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা পাঁচদিনব্যাপী এই শিক্ষণশিবিরে দুটি বিষয়কে গুরুত্ব দিচ্ছি। একটি হলো স্বনিযুক্তি প্রকল্পে উদ্যোগী ও উদ্যমী হওয়া ও বিপণনের বাজার বিস্তৃতির জন্য রফতানি বিসম্পর্কে সম্যক ধারণা তৈরি। ,, ড: দিব্যেন্দু চৌধুরী স্বনির্ভর উদ্যোগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কতটা প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারে এই সম্পর্কে জানালেন বিজ্ঞানের অগ্রগতি রোখা সম্ভব নয়। কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কে আমরা আমাদের প্রকল্পে সাহায্যকারী হিসেবে ব্যবহার করতে পারি।এদিনের অনুষ্ঠানে স্বনিযুক্তি প্রকল্পে সরকারি সহায়তা কিভাবে একজন উৎসাহী উদ্যোগী গ্রহণ করতে পারেন সে বিষয়েও তথ্য প্রদান করা হয়। শিক্ষণ শিবিরে উপস্থিত ছিলেন বহুলাংশেই উদ্যোগী মহিলারা। প্রদর্শিত হয় তাঁদের নির্মিত নানা পণ্য।