Spread the love

শ্রীজিৎ চট্টরাজ : করোনা পরিস্থিতির পর রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন থাকা কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে আর্থিক বিকাশের কথা প্রচার হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবের ছবিটা অন্যরকম। ২০২৩ এর সমীক্ষা বলছে, দেশের জনসংখ্যার প্রায় ৭০ শতাংশ থাকেন গ্রামীণ এলাকায়। সেখানে ১০ শতাংশের কম মানুষ জীবনবীমার সুবিধা গ্রহণ করেন। এঁদের ২০ শতাংশেরও কম স্বাস্থ্যবীমা আছে। এই পরিস্থিতিতে প্রবীণ নাগরিকদেরস্বাস্থ্য বীমায় প্রিমিয়াম বৃদ্ধি,১৮ শতাংশ জি এস টি প্রত্যাহার, এজেন্টদের কমিশন বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য বীমা থেকে রিজনেবল কাস্টমারি ক্লজ প্রত্যাহার, সুষ্ঠগ্রাহক পরিষেবা প্রদান ও হাসপাতালগুলিতে অনৈতিক বিল রদ প্রভৃতি দাবিতে শুক্রবার জেলায় জেলায় বিক্ষোভ দেখান বীমা শিল্পে জড়িত এজেন্ট ইউনিয়নের সভ্যরা। কলকাতায় অফিস পাড়ায় জীবন বীমা কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন ইউনিয়নের যুগ্ম আহ্বায়ক ছোটন আইচ ও আশীষ দাঁ।

স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে বেসরকারি মুনাফা সন্ধানী বীমা কোম্পানিগুলি সাধারণ মানুষের জমাকৃত টাকা নিয়ে নয়ছয় শুরু করে।১৯৫৫ সালে ৬ ডিসেম্বর ফিরোজ গান্ধী সংসদে প্রথম ভাষণেই বেসরকারি বীমা সংস্থাগুলির অনৈতিক কাজের কথা ফাঁস করেন। এরফলে ১৯৫৬ সালে ১ সেপ্টেম্বর ভারতীয় জীবনবীমা তৈরি হয় সরকারি সংস্থা হিসেবে। উদার অর্থনীতির নামে বিগত কেন্দ্রীয় সরকারের আমলেই যে বেসরকারি সংস্থার হাতে সরকারি লাভজনক সংস্থা গুলিকে বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার ভার নিয়েছে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার। বীমা কর্মীদের অভিযোগ, কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে বীমা শিল্পে প্রতিষ্ঠিত করতে কমদামে এল আই সির শেয়ার মূল্য কমিয়ে বাজারে ছাড়া হয়। যা ইস্যু মূল্যের চেয়ে ৮.১১ শতাংশ কম দামে। কর্মীদের দাবি, চক্রান্ত করেই কেন্দ্রীয় সরকার সরকারি বীমা শিল্পকে দূর্বল করে বেসরকারি আগ্রাসনকে প্রশ্রয় দিয়ে চলেছে।যার ফলে আগামীদিনে যেমন এই শিল্পে জড়িত কর্মীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে তেমন গ্রাহক স্বার্থও ক্ষুণ্ণ হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই কর্পোরেট তোষণের বিরূদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ার শপথ নিয়েছেন সরকারি বীমা শিল্পের কর্মীরা।