“একা একা পথ চলা এবং একা একা কথা বলা” । এই বাক্যের সমীচিন একজন মানুষ। যিনি ছোটো বেলা থেকেই বাড়ির ও পরিবেশের সবার থেকে আলাদা। যিনি একাধারে একজন নৃত্য শিল্পী, অভিনেতা, নেতা , কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার এবং চলচিত্র জগতের উদীয়মান পরিচালক এবং নিজের প্রিয়ম কয়ার নৃত্য প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষক ।
একজন মানুষ নিজেকে তিল তিল করে গড়ে তুলেছেন সাংস্কৃতির মন নিয়ে। বছর দশেক ধরে বাটা নগর, মহেশতলা ও বজবজ অঞ্চলের ছাত্র ছাত্রী তাঁর নাচের প্রশিক্ষন পেয়ে আজ তাঁরাও অনেকে প্রতিষ্টিত।
নিজের পেশায় ৩৯ বছরের অভিজ্ঞতায় রাজ্য,দেশ এবং দেশের বাইরের মানুষকে বিনোদন যুগিয়েছেন
। ১৯৮৮ সালে বিশিষ্ঠ নৃত্য শিল্পী শম্ভু ভট্টlচার্য কিশোর কল্যাণ কে চিনে নিতে ভুল করেন নি। ১৯৮৯ সালে রাজ্য সংগীত একাডেমী পুরস্কারে ভূষিত হন।
নাচ,নাটক, থিয়েটার, ভৈরব অপেরায় যাত্রা, বছর পাঁচেক বহু মেগা সিরিয়ালের অভিনযয়ের ও নৃত্য পরিচালনার পর প্রযোজক শঙ্কর সেন শর্মার ইলাবাণী এন্টারটেইনমেন্ট এর কাছ থেকে ডাক পেয়ে শুরু হল নিজেরই কাহিনী ও চিত্রনাট্য নিয়ে পরিচালনার কাজ। ‘ নষ্ট জীবন’, ‘সহজ গ্রাম’, ‘ টাইম পাস ‘, এবং ‘ কমিটমেন্ট’ এর মত বড় পর্দা ও স্বল্প দৈর্ঘ্যের সিনেমা। যদিও এর আগে বাংলা ছবি ‘তিস্তা পারের কন্যা’ তে নৃত্য পরিচালনার কাজ করেছেন।
তাঁর স্মৃতির ঝুলিতে জমা আছে নৃত্যনাট্য ‘
‘লোক জনিনী সারদা ‘ , “রানার চলেছে..” এবং ‘আয় খুকু আয়’ নৃত্যে শত মানুষের চোখের জলের স্মরণীয় মুহূর্ত যা কোনো পুরস্কারের থেকেও অনেক বেশি প্রাপ্তি । কল্যানের জীবন সান্নিধে নাট্যকার কুমার রায়, সৌমিত্র বসু,দেবেশ রায় চৌধুরী,সংগীত শিল্পী কল্যান
সেন বরাট, নৃত্যশিল্পী মমতা শংকর এর মত গুণীজন সমৃদ্ধ করেছেন। তাই তাঁর ইচ্ছা সংস্কৃতির সঙ্গেই বেঁচে থেকে বাকী জীবন পাড় করা।
শীঘ্র মুক্তি আসন্ন ছবি “নস্ট জীবন” মানুষের কল্যাণে নিবেদন করতে চলেছেন
কল্যাণ দাশগুপ্ত।
Discover more from SRB News Bangla
Subscribe to get the latest posts sent to your email.