একটি বই সপ্তসুরের ঝরনা শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের বাংলা ভাষায় লিখিত একটি বই । অনেক আশা নিয়ে এবং শাস্ত্রীয় সংগীত কে ভালবেসে নিজের প্রচেষ্টায় একটি বইটি লেখেন যা আশার সঙ্গীতময় জীবনে নতুন করে আশা এনে দেয়।

এই পুস্তকটির প্রকাশিত হবার পরই কিরানা ঘরানা থেকে যোগাযোগ করা হয়। এবং সর্বেপরি মার্চ ২০২৪-এক আশা দেবনাথকে “পন্ডিত” উপাধিতে ঘোষনা করাহয়।
উল্লেখ্য সারা পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র উত্তর পূর্ব ভারতে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে মহিলাদের মধ্যে সাম্প্রতিক সময় ইনি একমাত্র পন্ডিত উপাধিতে ভূষিত হলেন। শাস্ত্রীয় সংগীত জগতের এটি একটি বিরল সম্মান। এই সম্মানটি প্রদানের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পন্ডিত সাধন কৃষ্ণ রায় , রাজা জগৎ কিশোর, আচার্য চৌধুরী পন্ডি ত মৌলবি রাম মিশ্র সহ প্রমুখ ।
গীতশ্রী আশা দেবনাথ
শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের এক অনন্য নাম আশা দেবনাথ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথর প্রতিমার ছয় ছোট্ট আশা মাত্র ছয় বছর বয়সে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের হাতেখড়ি ।পরিবারের ঠাকুমা নিত্যমনি দাসীর কাছে সংগীত চর্চা শুরু করেন। নিত্যমনি দাসী ছিলেন আঙ্গুর বালা দেবীর কন্যা এবং ওস্তাদ এনায়েত খাঁ সাহেবের ছাত্রী। ১৯৯৮ সালে বন্যার পর সুহায় সম্বলহীন পিতা বিপুল দেবনাথ সুভাষ গ্রামেনিয়ে আসেন আশাকে। ঠাকুমার মৃত্যুর পর আশা পণ্ডিত জগদীশ প্রসাদজীর কাছে সঙ্গীত শিক্ষা সম্পুর্ণ করেন।২০০৩ সালে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে এম. এ. পাশ করেন। ২০১৩ সালে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের বিষয়ে গবেষণা এবং পি.এইচ. ডি লাভ করেন।

শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে আশা সপ্ত সুরের ঝরনা বইটি লেখেন। যার ফল স্বরূপ দেশ বিদেশের বহু ছাত্র ছাত্রী গান শিখতে আসেন। সেই সূত্রেই তিনি ঠাকুমা নিত্যমনি দাসীর নামাঙ্কিত একটি স্কুল খোলেন। বর্তমানে তিনি প্রাচীন কলাকেন্দ্র ও চন্ডিগড়ের পরীক্ষক হিসাবে নিযুক্ত রয়েছেন।


Discover more from SRB News Bangla

Subscribe to get the latest posts sent to your email.