Spread the love

উত্তরবঙ্গের চালসায় আমার জন্ম আর বেড়ে ওঠা। তাই প্রথম থেকেই ইচ্ছে ছিল বাইরের চোখে উত্তরবঙ্গ নয়, একদম আমাদের গল্প বলার। তাই আমি প্রথম সিরিজে বেছে নিয়েছি শিলিগুড়ি, কার্শিয়াং আর জলপাইগুড়ির কয়েকজন বাসিন্দার গল্প। আর বেশ কিছু কাজ করার পর মনে হয়েছিল আমাদের বাঙালির সেই হারিয়ে যাওয়া সিনেমার গল্প- যেই গল্পে হাসি, মজা, আনন্দ ভরপুর ছিল। যেমন ‘গল্প হলেও সত্যি’ বা ‘মৌচাক’ বা ‘বসন্ত বিলাপ’ এবং আরও অনেক। নিখাদ তরুণ মজুমদার, তপন সিনহার সিনেমা যা এখনও আমরা মিস করি- সেই আমেজের গল্প যদি ফিরিয়ে আনা যায়।
সেই মিস করা থেকেই এই গল্পটা লেখা। যেই গল্পটা সপরিবারে একসাথে বসে জমিয়ে দেখার মতন একটা সিনেমা। ভালো খারাপ সবই তো দর্শকের হাতে। কিন্তু আমি আমার গল্পটা পরিবারের সবাইকে শুনিয়ে বেশ মজা দিয়েছিলাম। আর তারপরই অদ্ভুত ভাবে গল্পটা ভালো লেগেছিল ক্লিক এর কর্ণধারদের। সেখান থেকেই একদম নতুন লেখক পরিচালককে সুযোগ দেওয়া। আর তারপর একের পর এক প্রশ্রয় দিয়ে উত্তরবঙ্গের এক সিনেমাপ্রেমীকে স্বপ্ন পূরণ এর সুযোগ করে দেওয়া। জয়দীপ ব্যানার্জি অনেকটা গাইড করেছে আমাদের সৃজনশীল নির্দেশক হিসেবে ।

এইবার গল্প লিখলেই তো আর সবটা হয়ে যায় না। সেই স্বপ্ন পূরণের জন্যেই চাই শুটিং এর প্রচুর কাঁচামাল। অভিনয়ে সেই স্বপ্নপূরণগুলো সবুজ বর্ধন, দুর্বার শর্মা, সন্দীপ ভট্টাচার্য, পিয়া দেবনাথ, দিশা ভট্টাচার্য এবং উজ্জয়িনী দেব মুখার্জি- ভরিয়ে দিয়েছে। নবাগত হলেও চোখের সামনে দেখতে পেয়েছি- কীভাবে নিজ প্রতিভায় সবাই আমার গল্পের চরমতম রূপ দিতে পেরেছে। এডিট টেবিলে বসে আমি নিজেই হা হা করে হেসেছি।

অনেকটা স্বপ্ন নিয়ে এসেছিলাম কলকাতায় সিনেমা বানানোর লোভে। সেই লোভে প্রথম স্বাদ ফেলে গেল সবাই এবং অবশ্যই ক্লিক। ‘আমি এটা ভেবেছি’ থেকে ‘ভেবেছে যখন দাও’- এই বড় কথাটা বলার মধ্যেও যেই সাহস বা ভালোবাসাটা লাগে সেটা আমায় দিয়েছে ক্লিক। কতটা ফিরিয়ে দিতে পেরেছি এ তো সময় আর দর্শক বলবে।

কিন্তু আমার এই স্বপ্নপূরণের হ্যামলিনের বাঁশিওয়ালা হয়ে থেকে যাবে গত দুমাসের যুদ্ধের মতো শুটিং আর ক্যামেরার আড়ালে থেকে যাওয়া ক্লিক এর সমস্ত কর্মীবৃন্দরা…