Spread the love

শ্রীজিৎ চট্টরাজ : বিশ্বজুড়ে যুদ্ধের পরিস্থিতি। দেশে দেশে চলছে মানবনিধন যজ্ঞ। তবু আছে আছে প্রাণ আছে। রক্তের অভাবে বিশ্বের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে মানুষের জীবন নিভছে। তাই মানবিকতার আরেকনাম রক্তদান করতে এগিয়ে আসছেন শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ। ভারতও পিছিয়ে নেই। কলকাতার এক ঐতিহ্যশালী হিন্দুস্থান ক্লাব এই বছর প্রথম ক্লাবের জন্মদিনে আয়োজন করল এক রক্তদান শিবির।১৯৪৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় আসা রাজ্য পুতানার ব্যবসায়ী সম্প্রদায় ল্যানসডাউন রোডের একটি ছোট্ট ভাড়া বাংলো বাড়িতে গড়ে তোলেন এই ক্লাব। পেশার বাইরে সপরিবারে মিলিত হওয়ার সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই ক্লাবের সূত্রপাত। আজ সেই ক্লাব এক ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে।

ভারতে ১৯৪১ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষিতে আহত সেনাদের প্রয়োজনে এই কলকাতাতেই প্রথম রক্তদানের ব্যবস্থা হয়। এই কলকাতাতেই প্রথম গড়ে ওঠে ব্লাড ব্যাংক। ক্লাবের ৭৯ তম জন্মদিনে রক্তদান শিবিরের আয়োজন সম্পর্কে ক্লাবের সভাপতি নরেন্দ্র কুমার তুলশিয়ান বলেন, শতবর্ষের পথে এই ক্লাবে এই বছর থেকে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হলো। আমাদের তালিকায় নাম লিপিবদ্ধ করেছেন প্রায় একশ জন রক্তদানে ইচ্ছুক সভ্য। কিন্তু ক্লাব সদস্য ও কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করে বলতে পারা যায় রক্তদাতার সংখ্যা দেড়শ ছাড়িয়ে যাবে। সামাজিক মেলবন্ধনের উদ্দেশ্যে একদিন এই ক্লাবের সৃষ্টি। তাই সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই আমরা রক্তদান শিবিরের আয়োজন করলাম সদস্যদের দাবিতেই। ক্লাবের সম্পাদক সুধীর সত্নালিওয়ালা জানান, আমরা গর্বিত ক্লাবের ৭৯ তম জন্মদিনে ক্লাব সদস্য, কর্মী , স্বেচ্ছাসেবক ও শুভানুধ্যায়ীদের সহযোগিতায়। অনুষ্ঠানে ক্লাব সামাজিক কর্মকাণ্ডে অবদানের জন্য শ্রী সিমেন্টের কর্ণধার হরিমোহন বাঙ্গুর ও প্যাটন ইন্টারন্যাশনালের কর্ণধার এইচ পি বুধিয়াকে সম্বর্ধনা জানায়। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সন্ধ্যায় ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।