Spread the love

মার্চ ৯, কলকাতা: কেউ বানিয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে পরীক্ষার খাতা দেখার সহজ পদ্ধতি, আবার কেউ দেখিয়েছে স্টেডিয়ামে খেলা চলাকালীন আচমকা বৃষ্টি শুরু হলে তা রোধের উপায়। সব মিলিয়ে আক্ষরিক অর্থেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ যেন হয়ে উঠেছিল জীবন্ত একখানা গবেষণাগার।

শনিবার কলকাতার ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (আইইএম)-এর উদ্যোগে এবং ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কলকাতা, রোটারি ক্লাব অফ সল্টলেক সিলিকন ভ্যালি, ও স্মার্ট সোসাইটি ইউএসএ এবং কানাডা-এর সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হল ইনোভাশিও (Innovacion)
২০২৪।

আইইএম-এ আয়োজিত এই টেক ফেস্টে অংশ নেয় বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। খুদে বিজ্ঞানীদের প্রদর্শিত শতাধিক মডেলের মধ্যে নজর কাড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবট চালিত মডেলগুলি। এছাড়াও কয়েকটি স্টলে নিজেদের মডেল নিয়ে হাজির ছিল বিশেষ ভাবে সক্ষম পড়ুয়ারাও।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অনীশ সরকার, আইপিএস, ডিসিপি, বিধাননগর জোন, এবং বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট; জিশান খান, ডব্লিউবিসিএস (এগজি.), অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি, আইটি অ্যান্ড ই বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার; দেবাশীষ চৌধুরী, ডব্লিউবিসিএস (প্রাক্তন), সিনিয়র ডেপুটি সেক্রেটারি, আইটি অ্যান্ড ই বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার; সুপর্ণ পাঠক, বিজ্ঞানী ও ডিজিএম, রিজিওনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার-ইস্ট, এনআরএসসি, ইসরো, ভারত সরকার; এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।

আইইএম-এর ডিরেক্টর ড. সত্যজিৎ চক্রবর্তী বলেন, এই টেক-ফেস্টে উপস্থিত পড়ুয়া, শিক্ষাবিদ, শিল্প পেশাদার এবং উৎসাহীরা প্রযুক্তির দুনিয়ায় এক নতুন দিগন্তের খোঁজ দিয়েছেন। প্রযুক্তি নিয়ে চলে আসা চিরাচরিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন তাঁরা। আর শুধু তাইই নয়, পাশাপাশি প্রযুক্তির ভবিষ্যতকেও বিশেষ রূপ দেওয়ার নিরলস চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন।

এই বিষয়ে ড. প্রবীর কুমার দাস, ফ্যাকাল্টি হেড, ইনোভেশন ২০২৪ বলেন, প্রযুক্তি এবং ব্যবস্থাপনার জগতে ইনোভেশন টেক-ফেস্ট-এর স্থান অনন্য। এই অনুষ্ঠান পড়ুয়াদের উদ্ভাবন এবং সহযোগিতার চেতনা উদযাপন করতে বরাবর উৎসাহ জুগিয়ে এসেছে।