Spread the love

উৎকর্ষ বাংলার সহযোগিতায় ও শতাব্দী প্রাচীন প্রখ্যাত মিষ্টান্ন প্রতিষ্ঠান সতীশ ময়রা ওরফে সতীশ চন্দ্র দাস এন্ড সন্স এর সৌজন্যে একটি সামাজিক উদ্যোগ ” বাংলার ছানার মিষ্টি তৈরীর প্রশিক্ষন কেন্দ্রের প্রথম ব্যাচের ছাত্র ও ছাত্রীদের শংসাপত্র প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হলো ২৯শে ফেব্রুয়ারী ২০২৪, “সতীশ কোর্ট” ভবনে।
এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানের প্রথম ও প্রধান উদ্যোক্তা Institute of Indian Sweet Technology Research and Development Centre এর কর্ণধার অরূপ কুমার দাস ওরফে সম্রাট।
উৎকর্ষ বাংলা ও মিষ্টি উদ্যোগের সহযোগিতায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কারিগরদের পরীক্ষণ শেষে শংসাপত্র তুলে দিলেন।এই উদ্যোগের মাধ্যমে সমাজে খাদ্য সুরক্ষাবিধি মেনে সর্ব উৎকৃষ্ট মানের মিষ্টি ও তার জন্য সঠিক ওয়ার্কশপের দিশা নির্নয় করতেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল।
উদ্যোক্তা অরূপ কুমার দাস এর কথায় ” আমাদের IIST এর প্রকল্পের মাধ্যমে আগামী ৫ বৎসরের মধ্যে আনুমানিক ১ লক্ষ এর বেশি যুবক-যুবতী আকর্ষণীয় সাম্মানিকের সুযোগ্য চাকরিও পাবেন বাংলার বিভিন্ন জেলা তথা ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যে, কর্মসংস্থানের ১০০ শতাংশ সুযোগ আছে এই মিষ্টান্ন শিল্পীদের।
মিষ্টান্ন শিল্পের প্রথম ও প্রধান সমস্যা প্রশিক্ষিত কারিগর তথা মিষ্টি শিল্পীর অভাব। আর এই সমস্যা মিটে গেলে আগামী প্রজন্ম তথা নবীন উদ্যেক্তারা মিষ্টি ব্যাবসায় এগিয়ে আসবেন এই আশা রাখাই যায়।
এদিন অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন পশ্চিম বঙ্গ বিধান সভার স্পিকার সাহেব মাননীয় শ্রী বিমান ব্যানার্জী, কলকাতা মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের বোরো পনেরোর চেয়ারম্যান শ্রী রঞ্জিত শীল, মিষ্টি উদ্যোগের সভাপতি শ্রী ধীমান দাশ,চেয়ারম্যান শ্রী রাহুল চৌরাশিয়া,সাধারণ সম্পাদক শ্রী নীলাঞ্জন ঘোষ, মিষ্টি উদ্যোগের চানাচুর সংগঠনের পদাধিকারী মাননীয় শ্রী প্রণব চন্দ্র ও স্বপন ঘোষ মহাশয়, বঙ্গীয় বাণিজ্য পরিষদের চেয়ারম্যান শ্রী অভিষেক আড্ডি ও ডক্টর অমিত চক্রবর্তী মহাশয় তথা সমাজের বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ।
প্রত্যেকেই এই প্রকল্পের আন্তরিক সাফল্য কামনা করে উৎসাহিত করেছেন এবং এই অভিনব উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। শুধু তাই নয় বাংলার সামগ্রী মিষ্টান্ন শিল্প এই উদ্যোগের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
কারিগরি ভবন ও এম.এস.এম.ই (পশ্চিমবঙ্গ)দপ্তরের উপস্থিত আধিকারিকগণ সব রকমের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আরও জানালেন,মিষ্টি উদ্যোগ ও উৎকর্ষ বাংলার যৌথ উদ্যোগে মিষ্টান্ন ও নোনতা শিল্পের এই কারিগরি প্রশিক্ষণ শিবির সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়বে খুব শীঘ্রই।