Spread the love

শ্রীজিৎ চট্টরাজ : বাংলা ছবি বয়সে যতটা বয়স্ক হয়েছে সে তুলনায় মনস্তত্ত্ব নির্ভর ছবি করার তাগিদ হাতে গোনা পরিচালক বাংলা পেয়েছে। একটা সময়ে বাংলা ভাগ নিয়ে যখন দেশ উত্তাল,তখন রাজনৈতিক মনস্তত্ত্বে ঋত্বিক ঘটকের সৃজনী কাজ করেছে। সিংহভাগ সযত্নে রাজনৈতিক সংকটকে সযত্নে এড়িয়ে আর্থ সামাজিক ও অবস্থাকে গুরুত্ব দিয়ে মেস বাড়ি সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয়েছে।এক অর্থে সেটিও একটি মনস্তাত্বিক স্তরকে ব্যবসায়িক অঙ্কে কাজে লাগিয়েছেন। এরপর সত্তরের দশক। যুব সম্প্রদায়ের সংকট ও হতাশাকে দুতিনজন পরিচালক ছাড়া কেউ নজর দেননি। বিনোদন শর্তই গুরুত্ব পেয়েছে। সেই ধারা বিশ শতাব্দী পর্যন্ত চলল। এযুগের নতুন প্রজন্মের সংকট যত বেড়েছে , তত তাঁরা মনস্তাত্বিক সংকটে ভুগছে।

এযুগের এমন এক নবীন পরিচালক নিজেই মনস্তত্ত্ব নির্ভর এক কাহিনী ও চিত্রনাট্য নির্মাণ করে ছবি নির্মাণ করেছেন বেলাইন। বাণিজ্যিক সাফল্য কে না চায়। তবে ফর্মুলার বাইরে গিয়ে এমন ছবি করার প্রচেষ্টা নিঃসন্দেহে পরীক্ষামূলক। প্রথমত ছবিটি দর্শক কতটা নেবেন সেই অগ্নি পরীক্ষা থাকছে তেমন আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়ে যাওয়া আর এক অগ্নি পরীক্ষা। মনস্তত্ত্বের বিচারে এই ছবির মুক্তি কতটা ইতিবাচক হবে সেটা বোঝা যাবে ২৯ মার্চ ছবি মুক্তি পাওয়ার পর। তবে গত বুধবার মধ্য কলকাতার একটি হোটেলে বেলাইন ছবির টিজার মুক্তির অনুষ্ঠানে এই প্রতিবেদককে পরিচালকশমীক রায়চৌধুরী বলেন, কোন ছবি দর্শক নেবেন সেটা বলা সম্ভব নয়, কিন্তু এটুকু বলতে পারি, এই সাইকোলজিক্য থ্রিলার যে চিত্রনাট্যের বুননে দর্শকদের চেয়ার ছেড়ে উঠতে দেবে না।

দৃষ্টিশ্রী আর্টস প্রাইভেট লিমিটেড নিবেদিত বেলাইন ছবির অন্যতম প্রযোজক হরিৎ রত্ন আধ্যাত্বিক জগতের মানুষ। তিনি কেন বিনোদন দুনিয়ায় অর্থ নিয়োগে কেন এলেন সেই প্রশ্নের জবাবে বলেন, সিনেমা একটি শক্তিশালী মাধ্যম। সমাজের প্রবীণ মানুষদের একাকীত্বের সংকট সমাজেরই সংকট। সেই সংকটের উত্তরণ নিয়ে একটি বার্তা যদি পৌছে দিতে পারি তার জন্যই এই জগতে আসা। এদিনের অনুষ্ঠানে পরান বন্দোপাধ্যায় মূল চরিত্র হলেও শারীরিক অসুস্থতায় আসতে না পারলেও ভিডিও বার্তায় ছবির প্রশংসা করেন। উপস্থিত ছিলেন ছবির মূল তিন অভিনেতা শ্রেয়া ভট্টাচার্য, আর জে সায়ন ও তথাগত মুখার্জি।