Spread the love

কলকাতা, মার্চ ২৩: শনিবার, বসন্ত-সন্ধ্যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাবনাকে ধরে রাখতে রবিস্পন্দন আয়োজন করেছিল তাদের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। রবীন্দ্র সঙ্গীত, নৃত্য ও রবি ঠাকুরের নানা রচনার মনোজ্ঞ আলোচনায় সমৃদ্ধ হয় রবীন্দ্রসদন প্রেক্ষাগৃহে উপস্থিত শ্রোতারা।

মুখ্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রমিতা মল্লিক, পীতম সেনগুপ্ত, ড. পূর্ণেন্দু বিকাশ সরকার, এবং স্বপ্না ঘোষাল। সমগ্র অনুষ্ঠানের ভাবনা, পরিকল্পনা ও পরিচালনায় ছিলেন ডঃ দূর্বা সিংহ রায়চৌধুরী। তিনি বর্তমানে রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্র সঙ্গীত বিভাগের অধ্যাপিকা। ছোট থেকেই গান বিশেষ করে রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রতি তাঁর টান। এই বিষয়েই পড়াশোনা, উচ্চশিক্ষা এমনকী গবেষণাও করেছেন তিনি। কলেজে অধ্যাপনার পাশাপাশি আকাশবাণী কলকাতার নিয়মিত শিল্পী দূর্বা।

শুরুতেই রবীন্দ্রনাথের গান বিষয়ক অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করে সংগঠনের শিশুশিল্পীরা। এরপর রবীন্দ্রনাথের কিছু গানের রবীন্দ্রসঙ্গীত হওয়ার আগের বিভিন্ন পরিবেশনা এবং বর্তমান স্বরলিপির রূপের তুলনামূলক আলোচনা করেন পীতম সেনগুপ্ত, রবীন্দ্র গবেষক, প্রাবন্ধিক। সহযোগিতায় ছিলেন অন্যান্য শিল্পীরাও। শেষে ধ্রুব ইনস্টিটিউট অফ ডান্স-এর শিক্ষিকা সায়নী চক্রবর্তীর নৃত্য পরিচালনায় আয়োজিত হয় নটরাজ ঋতুরঙ্গশালা। ভাষ্যপাঠে অংশ নেন কৃত্তিক ঘোষ।

আধুনিকতার মোড়কে মিলিয়ে নয়, বরং বিশুদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিক্ষা দানের উদ্দেশ্য নিয়ে ২০০৮ সালে পথ চলা শুরু হয় রবিস্পন্দন-এর। সংগঠনের শিল্পীরা যে সকলেই প্রাপ্তবয়স্ক তেমনটা নয়, বরং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রীতিমতো নজর কাড়ে রবিস্পন্দন-এর শিশুশিল্পীরাও।

বার্ষিক অনুষ্ঠান সম্পর্কে ডঃ দূর্বা সিংহ রায়চৌধুরী বলেন, শুরু থেকেই রবিস্পন্দন মূলত রবীন্দ্রনাথের গবেষণা মূলক কাজ-এই বিশেষভাবে আগ্রহী। আর সেই আগ্রহের ব্যতিক্রম হয়নি এই বছরের অনুষ্ঠানেও। উপস্থিত প্রত্যেক শিল্পীই সেই দিকটি নিজেদের মতো করে অনুষ্ঠানে ফুটিয়ে তুলেছেন। আর সেখানেই সাফল্য আমাদের।