Spread the love

রবিবার ১৯শে মে, কলকাতার বিখ্যাত ICCR প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এক অনন্য-সুন্দর সন্ধ্যা। শিবরঞ্জিনী ওড়িশি ডান্স একাডেমি তাদের বার্ষিক নৃত্যানুষ্ঠানের পরিবেশন নিয়ে সকলকে মুগ্ধ করেছে ও ধ্রুপদী নৃত্যশৈলীর এক নতুন রূপ দর্শকদের সামনে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছ।

ওড়িশি নৃত্যের এই সুন্দর পরিবেশনটি মূলত তিনটি ভাগে বিভক্ত ছিলো। প্রথম অংশে ওড়িশি নৃত্যের প্রাচীন শৈলী থেকে মঙ্গলাচরণ, বটু, মেঘ পল্লবী, মোক্ষ, ও অভিনয় পরিবেশিত হয়। ধ্রুপদী নৃত্যশৈলীর এমন পরিবেশন দেখে সকলেই মুগ্ধ হয়ে ওঠেন। পদ্মবিভূষণ গুরু কেলুচরণ মহাপাত্রের কোরিওগ্রাফি করা “কেরেছন্দ” ওড়িশি অভিনয়টি একক নৃত্যে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেন রেশমী বসু। শিবরঞ্জনীর প্রতিষ্ঠাতা তথা কর্ণধার, শ্রীমতি রেশমি বসুর পরিবেশনা এক কথায় অসাধারণ। এরপর দ্বিতীয় ভাগে সেমি-ক্লাসিকাল নৃত্যশৈলীর অন্তর্গত ‘স্পিরিট অব ইন্ডিয়া’ পরিবেশনা উপস্থাপিত করা হল। এই অংশে আমরা ভারতবর্ষের বৈচিত্রময় উৎসব অনুষ্ঠান ও পুজো-পার্বণের ঝলক দেখলাম।
সবশেষ আকর্ষণ ছিল মহাভারতের একটি অংশবিশেষ, “দ্রৌপদী” – এখানে অর্জুনের ভূমিকায় ছিল ইয়াসিতা সাহা, দ্রৌপদী-বৈষ্ণবী জালান, কৃষ্ণ- আনিকা গোয়েঙ্কা, ভীমের ভূমিকায় ছিল – জাগৃতি চক্রবর্তী, দু:শাসন – শ্রেয়া চক্রবর্তী, যুধিষ্ঠির- অহনা সরকার, শকুনির ভূমিকায় রেশমি বসুর অভিনয় অনবদ্য। “স্পিরিট অফ ইন্ডিয়া” এবং দ্রৌপদীর ভাষ্য রচনার দায়িত্বে ছিলেন মেঘনা নন্দী। সেদিন সুচারুভাবে সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন মেঘনা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ড: সায়ন ভট্টাচার্য ( Curator, Education Officer, Indian Museum), বিশিষ্ট অতিথি ছিলেন নীলাঞ্জনা রায় ( Secretary Cultural Committee Sanskar Bharati, West Bengal)
শ্রীমতি ডলি জৈন (আন্তর্জাতিক মানের শাড়ি ড্রেপার)। উপস্থিত ছিলেন বোর্ড মেম্বার, শ্রীমতি পাপিয়া ঘোষ, শ্রীমতী সায়নী বসু,
শ্রী কৌশিক বসু ও শ্রী শুভদীপ সাহা।
সমগ্র অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা ও ভাবনায় ছিলেন শ্রীমতী রেশমী বসু।