Spread the love

রূপক চক্রবর্ত্তী

(কাহিনী-চিত্রনাট্যকার, পরিচালক)

গ্রামের সহজ সরল ছেলে সনাতন বন্যায় বাবা, মা ও ভিটে হারিয়ে শহরে এসে উপস্থিত হয় দুরসম্পর্কের কাকা কাকিমার কাছে। কাকা স্বভাবে খুব ভালো হলেও কাকিমা একদমই কুচুটে চরিত্রের। তাদের দুই ছেলে ন্যাসপাতি আর সরবর্তী, মায়ের ধারা পেয়েছে। মেয়ে কমলা বাবার মত ভালো, শান্ত স্বভাবের। সনাতন শহরে এসেছে মামার পাঠানো পোস্টকার্ড নিয়ে। তার মামা যে অফিসে পিওনের চাকরি করে, সেখান থেকে রিটায়ার করার আগে তাকে নিজের জায়গায় বহাল করে দিয়ে যেতে চায়। সনাতন ভাবে কাকার বাড়িতে থেকে চাকরি করবে। কিন্তু কাকিমা তাকে শুরুতেই তাড়াতে চায়। কিন্তু বাধা দ্যায় বাড়ির চাকর হরি, যে মাত্র ৬০০ টাকা মাইনেতে বাড়ির সব কাজ করে করে ক্লান্ত। সে কাকিমাকে বুদ্ধি দ্যায় – – সনাতনকে দিয়ে বাড়ির বেশীর ভাগ কাজ করিয়ে নিতে। এতে হরির খাটনি কমবে, ওরাও বিনা মাইনের একটা চাকর পাবে। কাকিমা সনাতনকে বাড়িতে থাকতে দেয়।

ওদিকে সনাতন মামার অফিসে পৌঁছয়। সেখানে ঘুষখোর খেকুরে বড়বাবু তার পিছনে লাগে। কিন্তু সনাতন প্রথমে বসকে সন্তুষ্ট করে চাকরিটা বাগিয়ে নেয় ও বড়বাবুকে ঘুষ নেবার সময় বসের কাছে হাতেনাতে ধরিয়ে দ্যায়। বস বড়বাবুকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করলেও আবার সনাতনের অনুরোধেই তাকে চাকরিতে ফিরিয়ে নেন। বড়বাবুরও মন বদলে যায়, তিনি সৎ হবার শপথ নেন।

ওদিকে বাড়িতে ফিরে সনাতন পিওনের চাকরির বদলে মিথ্যে বলে সে বড়বাবুর চাকরি পেয়েছে অফিসে। মাসে চল্লিশ হাজার টাকা মাইনে। শুনে যারা ওকে দিয়ে বাড়ির কাজ করাবার মতলব করছিল, তারাই ওকে তোয়াজ করতে শুরু করে। ভালো ভালো খাবার দেওয়া, ভালো এসি রুমে রাখা নানাভাবে তেল লাগাতে – থাকে। এমনকি পুরোনো দু’লাখ টাকার ধারও কাকিমা শোধ দিয়ে দ্যায়। কিন্তু পরের দিন বস বাড়িতে সনাতনকে অফিসে নিয়ে যাবার জন্যে এলে সবকিছু ধরা পড়ে যায়। এবার সনাতনের কি হবে? সে কি রেহাই পাবে এদের হাত থেকে? নাকি তার ভাগ্যে আছে অন্য কিছু?