Spread the love

কলকাতা, ৭, মে: সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের কৃষক আন্দোলন এবং জনপরিসরে তার প্রভাবেই বাংলায় পালাবদল ঘটিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাঝে মধ্যেই তাঁর দাবি, পশ্চিমবঙ্গে কৃষকদের হাল ফিরেছে তৃণমূল সরকারের আমলে। নেই কোনও কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা। কিন্তু পুরোপুরি উল্টো ছবি আরটিআই-এর তথ্যে। আরটিআই-এর তথ্যেই উঠে এসেছে, ২০২১-এ শুধুমাত্র পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেই ১২২ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। ২০২২ সালেও এই অপমৃত্যুর মিছিল থামেনি। আরটিআই-এর তথ্যে জেলার প্রতিটি থানা এলাকা ধরে ধরে পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, সব থেকে করুণ ছবি ঘাটালে। সেখানে ২০২১ সালে ৬৩ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছিলেন। বর্ধমানে হালফিল আত্মহত্যা করেছেন বেশ কয়েকজন আলুচাষি।

কীভাবে বেঁচে আছে পশ্চিমবঙ্গের কৃষক? আলুর দাম বাজারে চড়া। কিন্তু কৃষক পাচ্ছেন প্রতি কেজিতে ৩ টাকা। কোল্ড স্টোরেজ আর বাজার নিয়ন্ত্রণ বাড়াচ্ছে সব্জির দাম। বাড়ছে কৃষি উপকরণের দাম, কালোবাজারি চলছে সারের। সঙ্গে আছে ফঁড়ের ফাঁদ। সিঙ্গুরের কথা নয় ছেড়েই দেওয়া হল। বোলপুরের শিবপুরে বাম আমলে দোফসলি বা তিনফসলি জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। লক্ষ্য ছিল শিল্প স্থাপন। কিন্তু পরবর্তীকালে সেখানে গড়ে উঠছে হাউজিং প্রজেক্ট। কৃষজমি শিল্পে রূপান্তরিত হতেও বাধা দেননি কৃষকরা। আশা ছিল, শিল্প হলে হাতে কাজ জুটবে! কিন্তু আজ হাউজিং প্রকল্পে তাঁরা দেখছেন অশনি সংকেত। না খেতে পেয়ে মরার দশা। তাই কৃষক পরিণত হচ্ছেন পরিযায়ী শ্রমিকে।

পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পরিবেশও ভাঁজ ফেলছে আমাদের কপালে। এবার এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই পারদ চল্লিশ ছুঁই ছুঁই। লু বইছে রাজ্যে, তাপে পুড়ছে বাংলা! মাঠে ফসল ঠিক আছে তো? পরিবেশের খামখেয়ালিপনা কীভাবে প্রভাবিত করছে কৃষকের জীবনকে? আমরা কি তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সেচ ও চাষের পরিকল্পনা তৈরি করতে পেরেছি? নাকি চাষির সার্বিক দুর্দশাই ভবিতব্য বাংলায়? এ সব নিয়েই এবার TV9 বাংলার নতুন নিউজ সিরিজ ‘চাষে সর্বনাশ!’ । ৭ মে, রবিরার। রাত ১০টা।