Spread the love

*
আম আদমী পার্টির রাজ্য ইনচার্জ সঞ্জয় বসুর বিরুদ্ধে দলের কর্মীদের অপদস্ত করে দল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ বহুদিন থেকেই। কর্মীদের অভিযোগ তিনি সকল কর্মীদের ক্রীতদাসের মত আচরণ করেন। শুধু তাই নয় বিভিন্ন জেলার প্রেসিডেন্ট দের সাথেও একই রকম আচরণ করেন। যারা তার এই সৈরাচারী মনোভাবকে মেনে নেই তারা দলে থাকে নাহলে যতো ভালো কর্মী হোক না কেনো তাকে দল থেকে বের করে দেওয়া হয়। মহিলা কর্মীদের সাথেও একই ভাবেই কথা বলেন উগ্রতার সাথে।
কর্মীদের আরো অভিযোগ বিগত দশ বছরে প্রায় দুই থেকে তিন হাজার কর্মীদের সঞ্জয় বসু পার্টি থেকে কোনো কারণ ছাড়াই বের করে দিয়েছেন। এমনকি বেশি প্রশ্ন করলেও তিনি পার্টির কর্মীদের পার্টি থেকে বের করে দেন। নাম না জানাতে ইচ্ছুক একজন কর্মী বলেন গতবছর বেশ কয়েকটি জেলার কর্মীদের সাথে একই আচরণ করেন তিনি। আর এক কর্মী বলেন সন্দেশখালীতে যে ঘটনা হয়েছে সেটা নিয়ে আমরা প্রতিবাদ করছিনা কেনো সেটা নিয়ে প্রশ্ন করায় বিজেপির এজেন্ট বলে কিছুজনকে দল থেকে বের করে দিয়েছেন সঞ্জয় বসু।
এবছরে আবার হটাৎ মুর্শিদাবাদ জেলার কর্মীদের কিছু না জানিয়ে দল থেকে বের করে দিয়েছেন। এমনকি জেলা প্রেসিডেন্টকেও কিছু না জানিয়ে রাজ্যের গ্রুপ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। সঞ্জয় বসুর সাথে যোগাযোগ করলে উনি কাউকে কোনো কৈফিয়ত দেননি। এমনিও উনি কোনো কর্মীর সাথে কথা বলেন না। ওনার সেক্রেটারিও কোনো উপযুক্ত কারণ দেখাতে পারেন নি।
মুর্শিদাবাদ সহ অন্যান্য জেলার কর্মীরা এই অগণতান্ত্রিক অর্ডারের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে। সোশ্যাল মিডিয়াতে সবাই সঞ্জয় বসুর অপসারণ দাবি করে পোস্ট করা শুরু করেছে। সকলের একটাই প্রশ্ন আপের মত একটি পার্টিতে এ কেমন নেতা যে সাধারণ মানুষকেই মানুষ মনে করেনা?
ফেসবুক টুইটারে চারিদিকে ট্রেন্ডিং চলছে

removesanjoybasu

রাজ্যের কর্মীরা এ মাসের শেষেই দিল্লি গিয়ে সঞ্জয় বসুর অপসারণের দাবি চেয়ে কেজরিওয়ালের বাড়ির বাইরে অনশনে বসার পরিকল্পনা করছে।
এর আগেও সঞ্জয় বসুর সৈরাচারী মনোভাবে নিয়ে দিল্লি পার্টি অফিসে অনেক অভিযোগ পড়েছে। কর্মীদের এমনও অভিযোগ যে তিনি তৃণমূলের থেকে টাকা পান এবং যাতে বাংলায় দলের সংগঠন মজবুত না হয় তার ব্যাবস্থা নেন।

আম আদমী পার্টির মুর্শিদাবাদের জেলা প্রেসিডেন্ট সোহেল রানা আলম জানান আমরা সবাই দলকে ভালোবাসি, দলের বিরুদ্ধে কারোর কোনো অভিযোগ নেই। আমি পদে থাকি বা না থাকি সারা জীবন কেজরিওয়াল সাহেব ও আপকে সমর্থন করে যাবো। সঞ্জয় বাবু কমিটি ভাঙতেই পারেন কিন্তু সেটার একটা গণতান্ত্রিক পদ্ধতি আছে। সেটাকে মানা হয়নি বলেই রাজ্যের কর্মীরা এভাবে গর্জে উঠেছে। বিষয়টা দিল্লির নেতৃত্বের দেখছেন তারা যেটা ডিসিশন নেবেন সেটাই দলের সবাই মেনে নেবে।